

পুঠিয়া প্রতিনিধিঃ মোঃ মিজানুর রহমান রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে ডেঙ্গুর মারাক্ত মরণ কামড় এর পরেও মশা নিধন ও সচেতন মূলক কোন প্রকার পদক্ষেপ নিচ্ছেনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। এর ধারাবাহিকতায় রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষ। বদ্ধ জলাশয় ও নর্দমায় আবর্জনার স্তুপ অপরিস্কারের কারণে মশার প্রভাব বেড়েছে কয়েক গুন। পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গত আগস্ট মাসে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ১২ জন ছিলো। চলতি মাসের এখন পর্যন্ত কোন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রতিবছর বাজেটে মশা নিধনে মোটা অংকের বরাদ্দ হলেও রহস্যজনক কারণে কর্তৃপক্ষ নানা অযুহাতে তাদের দায় সারছেন। তবে বিগত বছরের চেয়ে এবার মাত্রাতিরিক্ত মশার উপস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ লোকজন ডেঙ্গু আতংকে ভুগছেন। জানাগেছে, উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভায় মশা নিধনের একাধিক ফগার মেশিন রয়েছে। বছরে দু’একদিন উপজেলা পরিষদ চত্তরে ঔষুধ ছিটানো হলেও ইউনিয়ন ও পৌর ওয়ার্ড গুলোতে কখনোই মশা নিধন কার্যক্রম হয়নি সঠিক সময়ে। পৌরসভার নাগরিক জাকির হোসেন বলেন, আমাদের পুঠিয়া পৌরসভা কিছু কিছু বিষয়ে একেবারে উদাসীনতার পরিচয় দেয় তার মধ্যে মশা নিধনের বিষয়টি একেবারেই সামনে আসে। প্রতি বছরে মশা নিধনের জন্য হয়তোবা ভালো বরাদ্দ আসে কিন্তু পৌরসভা সদরে ঔষধ ছিটিয়ে বা ধোয়া তৈরি করে দায় মুক্ত হন। কিন্তু ওয়ার্ড পর্যায়ের নাগরিকগন এর সেবা থেকে বঞ্চিত থাকেন বছরের পর বছর। আর যদিও কোন পৌরসভার এলাকায় মশা নিধনের কাজ শুরু করে তাহলে লক্ষ্য করলে দেখা যায় বিভিন্ন মোড়ের উপরে দুই এক মিনিট ধোঁয়া ছড়িয়ে চলে যায়। পৌরসভা ও ইউনিয়নের একাধিক নাগরিকগণ বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ বা পৌরসভা অথবা উপজেলা কর্মকর্তা কেউ এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতন মূলক একটি লিফলেট বা সচেতন মূলক কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি এটি একটি দুঃখজনক ব্যাপার। পুঠিয়া উপজেলার ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে আমরা টিভির খবর থেকে শুরু করে পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন সময় প্রচার হচ্ছে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ ইউনিয়ন গুলোতে এখন পর্যন্ত মশা নিধনের প্রকার সুব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এ ব্যাপারে পুঠিয়া সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা এবং পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক শিবু দাস বলেন, পৌরসভার জন্য মশা নিধনের ঔষুধ ক্রয়ের একটি বাজেট করা হয়েছে আশা করা যাচ্ছে অল্প সময়ের মধ্যেই পৌরসভা এলাকায় মশা নিধনের কাজ শুরু হবে। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি কয়েকদিন আগে উপজেলা দায়িত্ব গ্রহণ করেছি মশা নিধনের বিষয়টি কি অবস্থায় আছে আমার জানা নেই।