মোঃ আসাদুজ্জমান আপেল পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাকলাহাট কে. পি উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মোটা অংকের টাকার বিনিমেয় বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জসিয়ার রহমান প্রধান তার পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে একেবারে গোপনে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে। এঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রাসহ জনপ্রতিনিধি, অভিভাবক এবং স্বয়ং শিক্ষকরাও।
নিয়োগ প্রক্রিয়াটি অস্বচ্ছ এবং বিধি বহির্ভুত দাবি তোলে গত বুধবার (১৯ জানুয়ারি) জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন স্থানীয় খাজা মিয়া নামের এক ব্যক্তি।
অভিযোগে তিনি বলেছেন, কমিটির কয়েকজন অসাধু সদস্যের যোগসাজশে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। বিধি অনুযায়ী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বিদ্যালয়ের নোটিশবোর্ড ও দর্শনযোগ্য বিভিন্ন জায়গায় লাগানোর কথা থাকলেও গোপন রেখেছেন তিনি। এজন্য স্থানীয় অনেক যোগ্য প্রার্থী আবেদনই করতে পারেননি। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক চার পদে প্রায় ৫০ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন বলেও উল্লেখ করেছেন খাজা মিয়া।
কথা হয় বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে। নিয়োগ সম্পর্কিত কিছুই জানতেননা তারা। নিয়োগ পরীক্ষা গত ৫ জানুয়ারি হলেও তারা জানতে পারেন মাত্র কয়েকদিন আগে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি কর্মরত শিক্ষকদেরও জানানোর প্রয়োজনবোধ করেননি।
বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা এবং ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধির সদস্য কনা প্রধান বলেন, কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে আমি নিয়োগ বোর্ডের সদস্য। কিন্তু আমার অগোচরেই কিভাবে নিয়োগ সম্পন্ন হলো তা জানা নেই। নিয়োগ বিষয়ে কোন কিছুই আমাকে জানানো হয়নি।
এবিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জসিয়ার রহমান প্রধান বলেন, ‘আমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। আমার লোকবল দরকার, আমি নিছি। আপনাদেরকে কি বলবো?
বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও নিয়োগ সংক্রান্ত কিছু জানানো হয় নি কেন? এমন প্রশ্নে জসিয়ার রহমান জানান, সবাই জানে এবং রেজুলেশনে সবার স্বাক্ষর রয়েছে। আপানাদের যা খুশি লিখেন।
জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগটি এখনো আমার নজরে আসেনি। তবে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহীন আকতার বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
২৫/০২/২০২