মোঃ আসাদুজ্জমান আপেল পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার দন্ডপাল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ২ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনের ফলাফল বাতিল ঘোষণা করে পুনরায় ভোট গননার জন্য মামলা হয়েছে।
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ আমলী আদালতে ১৩ জানুয়ারী মামলা দায়ের করেন প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী তুষার চন্দ্র রায়। মামলা নম্বর ৫। ওই প্রার্থী মধুরামপাড়া এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা ফটিক চন্দ্র রায়ের ছেলে। দন্ডপাল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দী করেন।
মামলার বিবাদী করা হয়েছে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী মশিউর রহমান, মজাহার আলী, আরফান আলী তালুকদার, প্রিজাইডিং অফিসার সোনালী ব্যাংক দেবীগঞ্জ শাখার সিনিয়র অফিসার তহিদুল ইসলাম, রিটার্নিং অফিসার উপজেলা কৃষি অফিসার শাফিয়ার রহমান,উপজেলা নির্বাচন অফিসার, জেলা নির্বাচন অফিসার ও জেলা প্রশাসককে।
মামলার এজাহার সুত্রে ও তুষার চন্দ্র জানান, গত ৫ জানুয়ারী দন্ডপাল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে আমি অংশ গ্রহন করি। এ ওয়ার্ডের কেন্দ্র প্রধানাবাদ ছালেহীয়া দাখিল মাদরাসা। ভোট কেন্দ্রের ভোট পুরনায় গননা করার জন্য ও প্রথম বিবাদী প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষিত ফলাফল বাতিলসহ নির্বাচনী বিরোধ নিষ্পত্তি পূর্বক বাদীকে সাধারন আসনের সদস্য পদে নির্বাচিত ঘোষণা প্রদানের জন্য আদালতে মামলা করেছি।
তিনি আরও বলেন, প্রার্থীরা তাদের মনোনীত ব্যক্তিদেরকে পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করেন। ভোট গননার পূর্বেই প্রিজাইডিং অফিসার তহিদুল ইসলাম এজেন্টদের কাছ থেকে কৌশলে স্বাক্ষর গ্রহন করেন। এমন কি ভোট গননা করার আগেই আমাদের পোলিং এজেন্টদের রুম থেকে বের করে দেয়া হয়। ভোট চলাকালীন সময়ে প্রিজাইডিং অফিসার প্রার্থী মশিউর রহমানের বাড়িতে দুপুরে খাবার খান। ভোট গননাকালে প্রার্থী মশিউর রহমানের প্রত্যক্ষ ছত্রছায়ায় ব্যাপক অনিয়ম, দূর্নীতি, ষড়যন্ত্র, কারচুপি ও যোগসাজশ করে যথাসময়ে ভোট গননা না করে ভোটের ফলাফল ও প্রকৃত ফলাফল ফরম নম্বর ২ এ উল্লেখ না করে নির্বাচনী ফলাফল ভুয়া ভাবে উল্লেখ করে প্রিজাইডিং অফিসার মশিউর রহমানকে নির্বাচিত ঘোষনা করে।
তুষার চন্দ্র রায় বলেন, নির্বাচনে যে ৮৮টি ভোট বাতিল হয়েছে সেটি বাতিলের ঘরে না লিখে আমার নামে দেখানো হয়েছে। ভ্যান গাড়ী মার্কায় যে ৮০৮ টি ভোট দেখানো হয়েছে সেটি প্রকৃত পক্ষে আমার ভোট আর আমার নামে যে ভোট দেখানো হয়েছে সেটি বাতিল ভোট। ভ্যান গাড়ী মার্কার ভোট হলো বাতিল করে দেয়া ৫৮৫ টি ভোট। এখানে বাতিল ভোট দেখানো হয়েছে ৫৮৫ টি। এটি কিভাবে সম্ভব একটি ওয়ার্ডে এতগুলো ভোট বাতিল হয়। এতগুলো ভোট বাতিল হয় এটা কখনো কেউ বিশ্বাস করবে না। প্রিজাইডিং অফিসার সুবিধা নিয়ে এই কারচুপি করেছে। আমি ব্যালট পেপার, মুড়ি বইসহ যাবতীয় দস্তাবেজ সরঞ্জামাদি তরব করার জন্য এবং আমাকে নির্বাচিত ঘোষনা করার জন্য মামলা করেছি। আশা করছি আদালত সুষ্ঠ রায় দিবে।
২৫/০১/২০২২