কক্সবাজারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী- সামুদ্রিক শৈবালজাত পণ্য সুনীল অর্থনীতির অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে মোঃ রেজাউল করিম, কক্সবাজার। কক্সবাজারে আজ সামুদ্রিক শৈবালজাত পণ্য উৎপাদন ও জনপ্রিয়করণ শীর্ষক কমর্শালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট বিকালে শহরের একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বর্তমান সরকার প্রচলিত মৎস্য চাষের পাশাপাশি বাণিজ্যিক গুরুত্ব সম্পন্ন অপ্রচলিত জলজ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার ও উন্নয়নে গুরুত্বারোপ করছে। তিনি বলেন, সামুদ্রিক শৈবাল আমাদের অত্যন্ত সম্ভাবনাময় সামুদ্রিক জলজ সম্পদ। মন্ত্রী আরো বলেন, সী-উইড বহুকোষী উদ্ভিদ, সামুদ্রিক ও আন্তর্জাতিক মানের খাবার। আমাদের জন্য এটি নতুন আইটেম, যা অনেকে চেনে না। সীউইডকে পরিচিত করতে সেক্টরভিত্তিক প্রচারণা দরকার। এতে আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ সংশ্লিষ্টদের কাজে লাগানো যায়। শ ম রেজাউল করিম বলেন, সী-উইড উৎপাদনে আমাদের সমুদ্র যথেষ্ট উপযুক্ত। সমুদ্র শৈবাল, গভীর সমুদ্রের জীবাশ্মু, খনিজ সম্পদকে কাজে লাগাতে হবে। আমাদের সুনীল অর্থনীতি অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত করেছে। কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন মাহমুদ চৌধুরী, আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এড, সিরাজুল মোস্তফা, জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান, কক্সবাজার মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুল ইসলাম, সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক প্রমুখ। মতামত প্রদান করেন সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের সভাপতি জি এ এম আশেক উল্লাহ, কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ, কলাতলী মেরিন ড্রাইভ হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান, নারী উদ্যোক্তা জাহানারা ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক আহমদ গিয়াস, টুয়াকের সাধারণ সম্পাদক আজমল হুদাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় কক্সবাজার সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্রে সামুদ্রিক শৈবাল উৎসবের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।