সাইফুর রহমান শামীম, কুড়িগ্রাম।। পাথর সংকটে ঝুলে আছে কুড়িগ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবোর) কাঙ্খিত উন্নয়ন কাজ। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান গুলোর দাবি শুধু পাথরের অভাবে কাজের অগ্রগতি নিয়ে তারা হিমশিমে পড়েছে । সরকারের সর্বশেষ তথ্য মতে কুড়িগ্রামে দারিদ্র্যের হার ৭০ দশমিক ৮০ ভাগ। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমোর, ফুল কোমর, গঙ্গাধর, সহ ১৬ টি নদনদী বিস্তৃত এ জেলা কমবেশি ভাঙ্গন প্রবন। এসব ভাঙ্গন ঠেকাতে ও কুড়িগ্রামের মানচিত্র পাল্টে দিতে সরকার মহৎ উদ্যোগ নেয়। এ জেলায় নদী শাসনের জন্য প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। জানা যায় ২০২০ সালের প্রথমদিকে প্রকল্প এলাকাগুলোতে জিও ব্যাগ ফেলিয়ে ভাঙ্গন ঠেকানো সহ প্রকল্পের চলমান কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে ব্লক তৈরি করে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এরইমধ্যে পাথর সিমেন্ট, তেল ও পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো বিপাকে পড়েছে। মেসার্স রূপান্তর, তাজুল-লুনা জেভি ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী সহ পাউবোর অধীনস্থ ঠিকাদাররা জানান প্রথমদিকে পাথর ১০২ টাকা সিএফটি কিনলেও এখন কিনতে হয় ১৭০ টাকা। বেশি দামে কিনার আগ্রহ থাকলেও তারা পাথর সংকটে ভুগছে । ফলে ঠিকাদাররা কাজ করতে হিমশিমে পড়েছেন। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায় করোনাকালীন সহ নানা প্রতিকূলতার মধ্যে তারা নদী শাসনের কাজ অব্যাহত রাখলেও বর্তমান পাথর সংকট সরকারের নির্ধারিত সময়ে কাজ সমাপ্ত নিয়ে পড়েছেন মহাবিপদে। স্থানীয়রা বলছেন কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী, রাজিবপুর ,নাগেশ্বরী ফুলবাড়ী ও ভুরুঙ্গামারীর স্থল বন্দরে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা , দুধকুমোর নদের ডান- বামতীর , নদী তীর সংরক্ষন ও বাঁধ নির্মাণ হওয়ায় ভাঙ্গনের কবল থেকে অনেক সড়ক, ফসলি জমি, মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান ও জনবসতি রক্ষা পাবে। জমিতে ফসল ভালো হবে, এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে, এর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমোর নদীর ডান বাম তীরে বাঁধ নির্মাণের কাজ বিধি মোতাবেক চলমান রয়েছে,। আমরা সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান করছি । আশা করছি নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হবে।
সর্ম্পকিত খবর সমূহ.
November 23, 2024