তাহিরপুর সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওর ওয়াচ টাওয়ার সংলগ্ন ২৩ নম্বর পি আইসি গাঙ্গের বাধের নিকট কান্দার উপর দিয়ে পাহাড়ি ঢলের পানি পার্শ্ববর্তী হাওরে প্রবেশ করছে, উল্লেখযোগ্য বর্ধীত ঘোরমার অংশ ছোট বড় হাওরের মধ্যে রযেছে খাউজ্জাউরী, নয়াহাল, গলগলিয়া, ফানা, কাউয়ারখাল এছাড়াও মধ্যনগর উপজেলার দক্ষিণ বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের কিছু কিছু হাওর ঝুকিতে রয়েছে,আইন্যা কলমা, ও শালদিঘা হাওরের দিকে পানি ধেয়ে আসছে। ফলে দুই উপজেলার ছোট বড় ১০ টি হাওরের প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান তলিয়ে যেতে পারে।
রবিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল থেকে টাঙ্গুয়ার ওয়াচ টাওয়ার সংলগ্ন বর্ধীত গোরমার অংশ কান্দার উপর দিয়ে এবং বাঘমারা বাদের পাশ দিয়ে উপছে পরছে পানি।
কান্দার উপর দিয়ে পানি উপছে পড়ার খবর পেয়ে তাৎকনিক ভাবে হাওরে ছুটে গেছেন গনমানুষের নেতা তাহিরপুর উপজেলার জননন্দিত উপজেলা চেয়ারম্যান হাওর বন্ধু বাবু করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল। বাধে মিলিত হন পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবির ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ হাওরে অবস্থান করে ফসল রক্ষার জন্যে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন।তাহিরপুর উপজেলার নান্দনিক উপজেলা চেয়ারম্যান বাবু করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন বাধের খবর শোনা মাত্রই আমরা ছুটে এসেছি, যে দিকে পানি ঢুকছে সেটা হলো কান্দা, পানি এতটাই বেড়েছে যে শত চেষ্টা করেও রক্ষা করা সম্বভ হচ্ছেনা, তারপরেও আমরা চেষ্ট করে যাচ্ছি, তিনি আরও বলেন প্রকৃতির সাথে যোদ্ধ করে ঠিকে থাকা বড়ই কঠিন তারপরেও শেষ চেষ্টা।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব রায়হান কবির বলেন শুরু থেকে আজকে পর্যন্ত রাত দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি হাওর কে রক্ষা করার জন্য কিন্তুু পানি যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাথে কতটুকু টিকা যাবে বলা যাচ্ছেনা,আমরা বাশ, ছাটাই, বস্তা দিযে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, যে দিকে পানি আসছে সেটা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন বাধ নয় কান্দা উপছে পানি ঢুকছে।