মোঃউজ্জাল হোসেন,যশোর ব্যুরো প্রধানঃ
তিন দফা দাবিতে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ১৭ মে থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতি। বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন গাজী আজ রবিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিন দফা দাবি হলো ভারত থেকে আমদানি করা পণ্য ওঠানো-নামানোর জন্য ভালো ক্রেন ও ফর্কলিফটের ব্যবস্থা করা, দক্ষ ক্রেন ও ফর্কলিফট চালক নিয়োগ দেওয়া এবং আমদানি করা পণ্য রাখার জন্য বন্দরে পর্যাপ্ত জায়গার ব্যবস্থা করা।
আজিম উদ্দিন গাজী জানান, ভারত থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ ট্রাকে করে যন্ত্রপাতি, তার, কয়েল, স্টিলের সরঞ্জাম, অ্যাঙ্গেল প্রভৃতি আমদানি করা হয়। বন্দরের শেডের মধ্যে ভারতীয় ট্রাক থেকে এসব পণ্য ক্রেন ও ফর্কলিফট দিয়ে নামানো হয়। পরে একইভাবে ক্রেন ও ফর্কলিফট দিয়ে এসব পণ্য দেশের ট্রাকে ওঠানো হয়। এরপর পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলো গন্তব্যের দিকে রওনা হয়। কম ওজনের পণ্য ওঠানো–নামানোর জন্য ফর্কলিফট এবং ভারী পণ্য ওঠানো নামানোর জন্য ক্রেন ব্যবহার করা হয়।
আজিম বলেন, বন্দরের বেশির ভাগ ক্রেন ও ফর্কলিফট অনেক আগের। সেগুলো প্রায় অকেজো। কিছু ক্রেন ও ফর্কলিফট ভালো থাকলেও সেগুলো দিয়ে পণ্য খালাস করতে গিয়ে বারবার নষ্ট হয়ে যায়। পণ্য ওঠানো–নামানোর সময় চারদিক ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে যায়। এতে বন্দরের আগুন লাগার ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। এসব ক্রেন ও ফর্কলিফটের চালকেরা অদক্ষ। এ ছাড়া বন্দরে পণ্য রাখার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা নেই। ফলে, এ বন্দরে আমদারি করা ভারী পণ্য খালাস করতে দীর্ঘদিন সময় লেগে যাচ্ছে। দিনে-রাতে ১০ থেকে ১৫টি ভারতীয় ট্রাক থেকে পণ্য নামানো যাচ্ছে না। পণ্য খালাসে দীর্ঘদিন লাগায় ভারতীয় ট্রাকমালিকেরা এই বন্দর দিয়ে আমদানি করা পণ্য পাঠাতে চাচ্ছেন না।
সমস্যার সমাধান চেয়ে তাঁরা বন্দরের পরিচালকের (ট্রাফিক) কাছে আজিম বলেন, বন্দরের বেশির ভাগ ক্রেন ও ফর্কলিফট অনেক আগের। সেগুলো প্রায় অকেজো। কিছু ক্রেন ও ফর্কলিফট ভালো থাকলেও সেগুলো দিয়ে পণ্য খালাস করতে গিয়ে বারবার নষ্ট হয়ে যায়। পণ্য ওঠানো–নামানোর সময় চারদিক ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে যায়। এতে বন্দরের আগুন লাগার ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। এসব ক্রেন ও ফর্কলিফটের চালকেরা অদক্ষ। এ ছাড়া বন্দরে পণ্য রাখার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা নেই। ফলে, এ বন্দরে আমদারি করা ভারী পণ্য খালাস করতে দীর্ঘদিন সময় লেগে যাচ্ছে। দিনে-রাতে ১০ থেকে ১৫টি ভারতীয় ট্রাক থেকে পণ্য নামানো যাচ্ছে না। পণ্য খালাসে দীর্ঘদিন লাগায় ভারতীয় ট্রাকমালিকেরা এই বন্দর দিয়ে আমদানি করা পণ্য পাঠাতে চাচ্ছেন না। সমস্যার সমাধান চেয়ে তাঁরা বন্দরের পরিচালকের (ট্রাফিক) কাছে দুবার আবেদন করেছেন। তিনি এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেননি।
বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতির সভাপতি এ কে এম আতিকুজ্জামান বলেন, ‘আমরা দুই বছর ধরে দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু বন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবি মানেনি। বাধ্য হয়ে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার বলেন, ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতির দাবি যৌক্তিক। কিন্তু এর সমাধান দ্রুত সম্ভব নয়। পর্যায়ক্রমে সমস্যার সমস্যার সমাধান করা হবে। ইতিমধ্যে কিছু ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া বন্দরে আমদানি করা পণ্যের পরিমাণও বেড়েছে। আগে প্রতি মাসে গড়ে ৭০ হাজার টন আমদানি করা পণ্য খালাস হতো। তিন মাস ধরে প্রতি মাসে ১ লাখ ৫ হাজার টন পণ্য খালাস করা হচ্ছে। ১৬ মে বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি সভা হবে। আশা করছেন, সেখান থেকে কোনো সমাধান বেরিয়ে আসবে