ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতার উপর হামলাকে পুঁজি করে–
ঈদগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা
মো রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার।
গত শনিবার (৪ জুলাই) বিকালে ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইসলামাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করছে। সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই দাবি করেছেন উপস্থিত নেতৃবৃন্দ। এ চক্রটি আসন্ন ইউনিয়ন কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে অনৈতিক সুবিধা আদায়ের লক্ষ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের কিছু সদস্যকে সংঘটিত ঘটনায় জড়িয়ে অহেতুক মিথ্যা অপপ্রচার করে উর্ধতন নেতৃবৃন্দের দৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্রে মেতেছে। ইতিমধ্যে দিবালোকের মত স্পষ্ট হয়েছে যে, কারা ষড়যন্ত্রকারী। মূলত এসব ষড়যন্ত্রকারীরা আসন্ন কাউন্সিলে হারার ভয়ে উন্মাদ হয়ে এসব অপপ্রচার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে। ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনকে অস্থিতিশীল করার কুমানসে তাদের এহেনতর গভীর ষড়যন্ত্র । এসব ষড়যন্ত্র কারীরা উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের মানহানি করার অপচেষ্টা করছে। যার মধ্যে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীও রয়েছে। অথচ এ ঘটনার সাথে তার কোন দূরতম সম্পর্কও নেই। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলামের উপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানান। তারা আরো বলেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চিহ্নিত চক্রটি যাতে আসন্ন কাউন্সিলে অনৈতিক সুবিধা হাসিল করতে না পারে সে ব্যাপারে আওয়ামী আদর্শের একনিষ্ঠ সৈনিকদের সতর্ক থাকতে হবে।
এছাড়া এ হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ ফোরামে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি মুলক ব্যাবস্থা নেয়ার দাবি জানান সংবাদ সম্মেলনে আগত নেতৃবৃন্দ। রবিবার (৫ জুলাই) বিকাল ৫ টায় ঈদগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ফারুক আহমদ।উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য হেলাল উদ্দিন এমইউপি, মোঃ হেলাল উদ্দিন সিকদার, নুরশাদ মাহমুদ, শাহাবুদ্দিন, শামসুল হক সোনা মিয়া, সাজ্জাদুল ইসলাম, সুমন কান্তি দে সহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।