শালিখা( মাগুরা) প্রতিনিধিঃ
মাগুরার শালিখা উপজেলার শতখালী ইউনিয়নের গোবরা পঞ্চপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী সুলতান বিশ্বাস বিল্লাল হোসেন নামের এক ১০ম শ্রেণীর ছাত্রকে থাপ্পড় মেরে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ এই বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রের চাচা এরশাদ আলী বাদী হয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে মৌখিক ভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ শফিউল আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিভাবক সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪জুন বিল্লাল হোসেন পরীক্ষা দিতে গেলে কলমের কালি ফুরিয়ে যায়, অন্য ছাত্রের কাছ থেকে কলম নিয়ে লিখতে গেলে অফিস সহকারী ছাত্র বিল্লালকে এলোপাথাড়ি থাপ্পড় দিতে থাকেন। এতে প্রচণ্ড আঘাত পেয়ে বিল্লাল হোসেন শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলে। বাড়িতে গিয়ে বাবা-মা ও চাচাদেরকে বিষয়টি জানায়।
এ ব্যাপারে বিল্লালের চাচা এরশাদ আলী বলেন, আমার ভাচতে বিল্লালকে যে ভাবে কানে থাপ্পড় মেরে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেছে৷ আমি এই অফিস সহকারি সুলতানের বিচার চাই৷ আমার ভাচতে শালিখা হাসপাতলে ভর্তি আছে৷ সে এখন কানে কিছু শুনছে না৷ কান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে৷ গোবরা পঞ্চপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্তারুজ্জামান মোবাইল ফোন রেকর্ট বক্তব্যে ছাত্রের কানের পর্দা ফাটা বিষয় জানেন বলে শিকার করলেও বাস্তবে সরজমিনে গিয়ে বক্তব্য নিতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের বিভ্রান্তিমুলক কথা বার্তা বলে বলেন,ছাত্র বিল্লালের কানের পর্দা ফেটে গেছে আমি এই প্রথম শুনলাম৷ ছাত্রের পরিবার আমাকে কিছু জানায়নি৷ তবে ছেলের চাচা ঘটনাটি ঘটার অনেক পরে আমাকে ফোনে জানিয়েছেন৷
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত অফিস সহকারি সুলতান বিশ্বাস মোবাইল ফোন রেকর্টে ছাত্রকে কানে থাপ্পড় মারার কথা শিকার করলেও সরজমিনে গিয়ে বক্তব্য নিতে গেলে তিনি বিষয়টা এড়িয়ে গিয়ে বলেন ওই দিন আমি ছাত্রকে মারিনি৷ তার একটা অপরাধের কারনে বিদ্যালয় থেকে তাড়িয়ে দিয়েছি৷ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শফিউল আলম বলেন বিষয়টি নিয়ে ওই ছাত্রের চাচা মৌখিক অভিযোগ করেছেন৷ শিগগিরই তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবো।