রাসেদুল ইসলাম রাসেল(সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জ)
অটোরিকশাগুলোর নেই ফিটনেস, রোড পারমিট ও চালকদের নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স। যে কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। অটোরিকশার চালকগন বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর কারনে প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা আবার অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুদেরও দেখা যায় এই অটোরিক্সা চালাতে যার ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত ।
এসব যানবাহনের গতি থাকলেও নিয়ন্ত্রণ না থাকার কারনে ভাড়ী যানবাহনের সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা। দূর্ঘটনার ফলে যাত্রী সাধারনকে প্রানহানী সহ পঙ্গুত্ব বরণ করতে হচ্ছে।
স্থানীয় এক হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স চালক জানান, ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকগুলো এতই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে এগুলো রাস্তার মাঝখান দিয়ে চলাচল করে আর হর্ন দিলেও সাইট দেয় না। মাঝে মাঝে রোগী নিয়ে বিপাকে পড়ে যাই। ইজিবাইক গুলো এতো দ্রুত গতিতে চলে ,দেখে মনে হয় যেন প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এতে যাত্রীরাও আঁতকে উঠে। এই ইজিবাইকের বেশিরভাগ চালক অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় বেপরোয়া গতিতে ইজিবাইক চালায়।
গতকাল স্কুল পড়ুয়া ছাহুল নামের ৬ বছরের এক ছাত্র রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে পাশ থেকে দ্রুত বেগে ছুটে আসা অটো রিক্সার ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় লোকজন দ্রুত শিশুটিকে নিকটস্থ উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।
আহত ছাহুলের বাবা কামাল হোসেন স্থানীয় একটি শিল্প কারখানায় চাকুরী করেন। ছালুলের মা সনিয়া আক্তার মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সোনারগাঁ উপজেলার সাবেক সভাপতি ও বি এম স্কুল এবং বি এম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান।তিনি আমাদের কে জানান তার কিন্ডার গার্টেন স্কুলের শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী এই রাস্তা দিয়ে পারাপার হয়ে স্কুলে আসা যাওয়া করে।প্রতিনিয়তই এখানে ছোট খাট একসিডেন্ট হয়েই থাকে।উর্ধতন কর্মকর্তাদের বারবার রাস্তায় দুপাশে স্পিড ব্রেকার তৈরী করার কথা বলেও কোন কাজ হয়নি।