মমিনুল হক রাকিবঃ করোনার ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিএ.৪ এবং বিএ.৫ আক্রান্ত রোগীর ফুসফুসে স্থায়ী হয়। ফলে এটি দীর্ঘদিন স্থায়ী হলে ফুসফুস তার কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারে।
ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গ কী:
এর বেশি কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন- জ্বর, অস্বস্তি, শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। এছাড়া কোনো কিছুর ঘ্রাণ নাকে না আসার বিষয়টি অব্যাহত থাকতে পারে। গুরুতর অসুস্থতা বিরল কিন্তু কারও কারও ক্ষেত্রে তা মারাত্মক হতে পারে।
তবে ওমিক্রনের অন্যান্য রূপগুলোর মতোই নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গগুলো সাধারণত হালকা হয়। রোগীর জন্য তেমন গুরুতর না হলেও, এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা রাখে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা করোনা টিকার সবগুলো ডোজ সম্পন্ন করেননি, তারা বিএ৪-৫-এ আক্রান্ত হলো গুরুতর উপসর্গে ভুগতে পারেন। তাই সবাইকে করোনার টিকা ও বুস্টার ডোজ গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি মাস্ক, স্যানিটাইজার, বারবার হাত ধোওয়াসহ ব্যক্তিগত সুরক্ষা বজায় রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, দেশে ফের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। এবার ওমিক্রনের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট বা উপধরন শনাক্ত হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২১ জুন) যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারের একদল গবেষক এ সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করেন।
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও এরই মধ্যে ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ছে।