পদ্মা সেতু স্থাপনের ফলে শরীয়তপুরের আবাসন খাতে ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সেতুর মাধ্যমে ঢাকার সাথে যোগাযোগ সহজ হওয়ায় ইতোমধ্যে জেলাটির বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে পাকা স্থাপনা তৈরির কাজ। রাস্তা-ঘাট সম্প্রসারণ ও নতুন-নতুন পাকা স্থাপনা গড়ে উঠতে শুরু করায় রড-সিমেন্ট, টাইলস, হার্ডওয়্যাার, কাঠের আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন ব্যবসা এখন নতুন গতি পেয়েছে।
পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে পরিবহন ব্যবসায় ইতোমধ্যে নতুন করে ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন শরীয়তপুরের ব্যবসায়ীরা। এমনকি স্থানীয় নতুন উদ্যোক্তারাও এই খাতে অর্থ লগ্নি করতে শুরু করেছেন।
যোগাযোগ সহজ ও সাশ্রয়ী হওয়ায় জাজিরার উৎপাদিত সবজি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় রফতানির পরিমাণ এখন কয়েকগুণ বাড়বে। ফলে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হবেন কৃষকরা।
এছাড়াও পদ্মার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল একসময় জেলাবাসীর জন্য ছিল অভিশাপ। পদ্মা সেতুর কারণে সেই চরাঞ্চল এখন সবচাইতে মূল্যবান ও চাহিদা সম্পন্ন ভূমিতে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ের অনেক কোম্পানি এখন বিনোদনপ্রেমী ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য রিসোর্ট তৈরি করতে হন্যে হয়ে খুঁজতে শুরু করেছে জমি। পদ্মা সেতুর কারণে দুর্গম চরাঞ্চল এখন আশীর্বাদে পরিণত হয়েছে। শরীয়তপুর পদ্মা-মেঘনা বেষ্টিত জেলা হওয়ায় পর্যটন শিল্পের বিকাশ এখন শুধুই সময়ের ব্যাপার।