লিপন খান, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃকিশোরগঞ্জ সফরে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, আমি জানি হাওরে কি করলে ভালো হবে কি করলে মন্দ হবে। ইটনা মিঠামইন অষ্টগ্রাম এর অলয়েদার সড়ক সম্পর্কে যারা নীতিবাচক মন্তব্য করেছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলেন সিলেট ও সুনামগঞ্জ অলয়েদার সড়ক হয়েছে পূর্ব পশ্চিমে। আর ইটনা মিঠামইন অষ্টগ্রাম অলয়েদার সড়ক হয়েছে উত্তরে দক্ষিণে। হাওরের মাঝে অপরিকল্পিত ভাবে বাড়ী ঘর করা যাবে না। ভৈরব নদীতে ৩টি ব্রিজ হওয়ায় উজানের পানি যেতে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।জনপ্রতিনিধিদের ভাব ধরা যাবে না। যারা নির্বাচিত করেছে তাদের মনে রাখতে হবে মেম্বার, চেয়ারম্যানগণ আলাপ আলোচনার মাধ্যমে শান্তি পূর্ণ ভাবে এলাকার সমস্যার সমাধান করতে হবে।এলাকার সার্বিক কল্যাণে জনপ্রতিনিধিদের কাজ করতে হবে। প্রতিহিংসা মূলক রাজনৈতিক করা যাবে না। আমাকে যদি জনগণ বার বার নির্বাচিত না করতো তাহলে আমি রাষ্ট্রপতি হতে পারতাম না। ২৪ শে আগস্ট ৪ দিনের সফরে ইটনা উপজেলায় বিভিন্ন পেশা জীবি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে
মতবিনিময় সময় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অডিটরিয়ামে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আমি বিদায়ের পূর্বে বড় করে জন সভা করে বিদায় নিতে চাই। দীর্ঘ সময় বঙ্গভবনে এভাবে থাকা যায় না।১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে আমি ডেপুটি স্পিকার হয়ে হাওরে সাবমারসেবল রাস্তা নির্মাণ শুরু করি। তখন অনেকেই বাধা দেয়। আমি তাদের বলি মাঠির সরু রাস্তা যদি পানির নিচে বছরের পর বছর অক্ষত থাকে তবে সাবমারসেবল রাস্তা করা যাবে না কেন। মিঠামইন থেকে ইটনা আসতে এক সময় সন্ধ্যা হয়ে যেত এখন আর হাওরে সেই দিন নেই। এর আগে তিনি ইটনা উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ পরিদর্শন করেন। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ-০৪ ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম এর এমপি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, নিকলী বাজিতপুর আসনের এর এমপি আফজাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান এড: জিল্লুর রহমান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, পুলিশ সুপার রাসেল শেখ, ইটনা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চৌধুরী কামরুল হাসান, ইটনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাফিসা আক্তার, ইটনা উপজেলা আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক সোহরাব উদ্দিন ঠাকুর,রাষ্টপতি আবদুল হামিদ কলেজের অধ্যক্ষ ইসলাম উদ্দিন, মৃগা ইউনিয়নের পরিষদ এর চেয়ারম্যান, মোঃ দারুল ইসলাম প্রমূখ।