মোঃ মজিবর রহমান শেখ,ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও জেলায় পিতাকে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পন করে ছেলে গোলাম আজম (২৯)। ৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার দিবাগত রাতে পৌর শহরের শান্তিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, ঐ মহল্লার গোলাম আজম রাতে থানায় গিয়ে জানায় যে, সে তার পিতা ফজলে হক (৬৯) কে কুপিয়ে হত্যা করেছে। দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে। পরে গোলাম আজমকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। পরিবারের লোকজন দুরে থাকায় হত্যার ঘটনাটি কেউ জানতে পারেননি বলে জানায় গোলাম আজম। প্রতিবেশী সূত্রে জানা যায়, গোলাম আজম রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশুনা শেষ করেছেন। পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে মাঝে মধ্যে বাক-বিতন্ডা হতো। এরই ধারাবাহিকতায় ঘরের ভেতরে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারানা তাদের। পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার পূর্বে সাংবাদিকেরা হত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে গোলাম আজম বলেন, আমার নামের সমস্যা। নাম গোলাম আজম হওয়ায় কোথায় চাকুরী হয়নি। সবখানেই নাম পরিবর্তন করতে বললে বিষয়টি আমার বাবাকে বারবার জানালেও তিনি নাম পরিবর্তন করতে দেননি। রাজশাহীতে ছাত্র থাকাবস্থায় নামের কারনে ২ বার জেল হাজতেও যেতে হয়েছে। আমি সুস্থ, আমাকে মানুষিক রোগী বানিয়ে বিভিন্ন অত্যাচার-নির্যাতন করা হয়েছে। আমি মানুষিক রোগী নয়; বিষয়টি বারবার বোঝানোর চেষ্টা করলেও আমার বাবা বিষয়টি গুরুত্ব দেননি। এ অবস্থায় ৩ মাসের শিশু নিয়ে আমার স্ত্রী পিত্রালয়ে চলে যায়। সবকিছু মিলিয়ে আমি হতাশাগ্রস্থ হয়ে পরি। ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: কামাল হোসেন বলেন, গোলাম আজম নিজেই তার পিতাকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে। এ বিষয়ে গোলাম আজমের মা রমিশা বানু বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত শেষে হত্যাকান্ডের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।