মোঃ ওসমান গনি ইলি,কক্সবাজারঃ কক্সবাজার ঈদগাঁও মেহের ঘোনা বনের অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির চারা গাছ রোপণ করছে বনবিভাগ। এতে বাগানগুলো হয়েছে দৃশ্যনন্দন। পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণের ফলে দেশীয় বিরল এবং বিপন্ন বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ১০-১৫ ফুট উচ্চতায় পৌঁছেছে। বনের ইকোসিস্টেম রক্ষাসহ বন্য পশুপাখির আবাস্থল হিসেবে গড়ে তুলতে বনায়ন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগ।
ঈদগাঁও মেহের ঘোনা রেঞ্জ কর্মকর্তা কার্যলয়ের সূত্রে জানা গেছে ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২, ২০২২-২৩ অর্থবছরে সুফল প্রকল্পের অধীন রেঞ্জটির অধিনে ৭১০ হেক্টর বনে বিভিন্ন প্রকারের বনায়ন হয়েছে । এ ছাড়া কক্সবাজার জেলায় সবুজ বেস্টনী সৃজন প্রকল্পের মাধ্যমে ১২০ হেক্টর বনায়ন হয়েছে। কক্সবাজার সদর উপজেলা ও রামু উপজেলার বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় অধিবাসীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, এসব বনে কয়েক বছর আগেও চোখে পড়ার মতো তেমন গাছ ছিলনা। বাগানে দেশীয় প্রজাতির কিছু চারা গাছ প্রাকৃতিকভাবে গজিয়ে উঠলেও প্রতি বছর শুকনো মৌসুমে সেগুলোর অধিকাংশ মারা যেত। পাহাড় গুলা দেখে ন্যাড়া মনে হতো। বনের ঘনত্বও কম ছিল। তবে ৩-৪ বছর ধরে বিভিন্ন বনায়নের ফলে বনের পরিবর্তন হয়েছে। একসময়ের ন্যাড়া বনে এখন দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ বেড়ে উঠছে। বনে গাছের ঘনত্ব বেড়েছে। এতে বনে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখা যাচ্ছে। আনাগোনা বেড়েছে বিভিন্ন ধরনের সরীসৃপের।
মেহেরঘোনা রেঞ্জ কর্মকর্তা রিয়াজ রহমান জানান, দূর্গম ঈদগাঁওতে বনায়ন যেমন চ্যালেঞ্জ; তেমনি রক্ষণাবেক্ষণও কঠিন। বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশে সুফল প্রকল্পের বনায়ন শতভাগ সফল করতে সব কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সুফলে সৃজিত বাগানসহ বনভূমি রক্ষায় প্রতিটি বিটে টহল কার্যক্রম জোরালো করা হয়েছে। বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশে বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় স্পেশাল টহল দল গঠন করা হয়েছে। এতে সুফল প্রকল্পে সৃজিত বাগান বেড়ে ওঠার সুযোগ পেয়েছে।
মেহেরঘোনা সদর বিট কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন, সুফলের বাগান রক্ষায় স্থানীয় অধিবাসীরা এগিয়ে এসেছে। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বাগান পরিদর্শন করে দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন।