মোঃ রেজাউল করিম,ঈদগাঁও,কক্সবাজারঃ কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নে পরিকল্পিত চুরির ঘটনায় জনমনে চলছে নানা কানাঘুষা। ইউনিয়নের সওদাগর পাড়ার (তেলি পাড়া) প্রবীণ মাংস ব্যবসায়ী মনজুর আলম সওদাগরের বাড়িতে সঙ্ঘবদ্ধভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঈদগাঁও থানা পুলিশ দল ক্ষতিগ্রস্থের বাড়ি পরিদর্শন করে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন।মনজুর সওদাগরের পুত্র চামড়া ব্যবসায়ী মোঃ শাহজাহান জানায়, ঘটনার দিন রাত সাড়ে আটটা থেকে নয়টার ভিতর বাথরুমের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে চোর ঢুকে।পরে রুমের দরজা বাহির থেকে বন্ধ করে দেয়। এ সময় নগদ পনের লক্ষ টাকা ও সাড়ে ছয় ভরি স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে যায়। টাকাও স্বর্ণালংকার স্টিলের আলমিরায সংরক্ষিত ছিল। ঘটনার পর আলমিরাটির চাবি ড্রেসিং টেবিলে পাওয়া যায়। শাহজাহান আরো জানায়, ঢাকা থেকে চামড়ার আমদানি তুলে ওইদিন ভোরে সে বাড়িতে আসে। সম্ভবত চোরেরা তাকে সে সময় ফলো করেছে।
শাহজাহান জানায়, ঘটনার সময় বাড়ির সদস্যরা ঈদের পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত ছিল।
তাই ঘটনা চলাকালে তারা চুরির বিষয়টি আঁচ করতে পারেনি। পরে বিষয়টি টের পেলে সকলে হতাশ হয়ে পড়ে।
মনজুর সওদাগরের অপর পুত্র মোঃ হেলাল উদ্দিন জানায়, চুরির ঘটনায় চার-পাঁচজন জড়িত থাকতে পারে। তবে স্থানীয় নাকি বহিরাগত তা সে নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে চোর সিন্ডিকেটে স্থানীয়রা থাকতে পারে বলে ধারণা তার।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মোকতার আহমদ জানান, চুরি হওয়া পনের লাখ টাকা থেকে তাৎক্ষণিক তিন লক্ষ টাকা পাওয়া গেছে। যেগুলো তাড়াহুড়া করে আলমিরার বিভিন্ন ড্রয়ারে রেখে পালিয়েছিল চোর। গৃহকর্তার নাতি ওই বাড়িতে বহিরাগত লোকও দেখতে পেয়েছিল। খবর পেয়ে আমি ওই বাড়ি পরিদর্শন করি।
এদিকে ঘটনার পরপর ঈদগাঁও থানা পুলিশের এস, আই শফিকের নেতৃত্বে একটি টিম মঞ্জুর সওদাগরের বাড়িতে যান। সেখানে তারা বাড়ির সদস্যদের সাথে কথা বলে বিভিন্ন তথ্য নেন।
ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ গোলাম কবিরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, বাড়ির লোকজন থাকা অবস্থায় কিভাবে এরকম ঘটনা ঘটতে পারে তা বলা মুশকিল। তিনি খোঁজ-খবর নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন বলে মন্তব্য করেন।
এদিকে পবিত্র ঈদুল আযহার আগের রাতে সংঘটিত এমন ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চলছে নানা কানাঘুষা।
বিষয়টি বিশ্বাস করতে অনেকের কষ্ট হচ্ছে।
তবে চায়ের টেবিলে বিষয়টি বেশ আলোচিত হচ্ছে।