মোঃ ওসমান গনি ইলিঃ কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় বন্যা প্লাবিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ জাকারিয়া। ৭ আগষ্ট (সোমবার) পোকখালী ও জালালাবাদ ইউনিয়ন বেড়িবাঁধ ভাঙা পরিদর্শন করেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি), জিল্লুর রহমান,পোকখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক আহমদ,আওয়ামীলীগ এর সভাপতি ও এমইউপি হেলাল উদ্দিন, ছাত্রলীগের সভাপতি সোরাইম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাসানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জন।
স্থানীয় সচেতন মহল বলেন অতিবৃষ্টির কারণে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বেড়িবাঁধ বেঙ্গেগিয়ে লোকালয়ে ডুকে পড়ছে পানি।
ঈদগাঁও খালের বাঁধ ভেঙে তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় এক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এ ছাড়া জোয়ারের পানিতে আরও সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় আছে।রবিবার রাতে জোয়ারে পানির চাপে মধ্যম পোকখালী রাবার ড্রাম এলাকায় বেড়িবাঁধটি ভেঙে যায়। মুহূর্তেই প্লাবিত হয় পূর্ব পোকখালী ছৈয়দ-পাড়া,আবুল ফজল পাড়া,কমলা পাড়া গ্রামের বেশিরভাগ এলাকা। কয়েকটি ঘের ও বেশ কিছু পুকুর তলিয়ে ভেসে গেছে মাছ। তিন শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অনেকের রান্না ঘরে পানি উঠেছে। খাবারের ব্যবস্থা করতে না পেরে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে তাদের। পোকখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক আহমদ বলেন
টানা বৃষ্টির কারণে ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি শ্রোতে বেড়িবাঁধ বেঙ্গে লোকালয়ে চলে আসে পানি। এতে প্রায় ১০০০ হার পরিবার পানিবন্ধী হয়েছে। অনেকের বাড়িতে রান্নাও করতে পারেননি। তাদেরকে শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন দ্রুত সময়ে ভাঙ্গাটি মেরামত করা হবে। ঈদগাঁও উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাকারিয়া বলেন বন্যা প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেছি বৃষ্টি কমার সাথে সাথে বেড়িবাঁধ এর মেরামত করা হবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কে বলা হয়েছে শুকনো খাবার ও তাদেরকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসতে। এলাকাবাসী প্রতিবাদ করে বলেন ড্রেনেজ মেশিন দিয়ে বালু উত্তল, অতিবৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলের কারণে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে পানি চলে আসচ্ছে।
বিভিন্ন সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ভাঙ্গা সড়কগুলো অতি দ্রুত মেরামত করে জনগণের চলাচলের উপযোগী করে তোলা হবে। এ অবস্থায় দ্রুত বাঁধ সংস্কার করার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।