স্বপন কুমার রায়,খুলনাঃ মহাধুমধাম ও উৎসব মূখর পরিবেশে সারাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি বা শুভ অষ্টমীর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার,। ৭ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪ টা ১৪ মিনিটে শেষ হবে।
হিন্দু পুরাণমতে ভাদ্রমাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে মথুরা নগরীতে দেবকী ও বাসুদেবের কোলে এই মহাপুণ্য তিথিতে জন্ম নিয়েছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ।হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মতে, প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছর পুর্বে দ্বাপর যুগে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণ পক্ষের অষ্টমী তিথিতে ধরাধামে আবির্ভূত হন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ।অত্যাচারী ও দুর্জনের বিরুদ্ধে শান্তিপ্রিয় সাধুজনের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে জন্ম নেন কংসের কারাগারে।শিষ্টের পালন ও দুষ্টের দমনে ব্রতি হন তিনি।সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণতাই ভগবানের আসনে অধিষ্ঠিত।
তাঁর জন্মের সময় তাঁর মা দেবকী এবং বাবা বাসুদেব কংস রাজার কাছে বন্দি ছিলেন। এক ভবিষ্যদ্বাণীতে কংসকে বলা হয়েছিলো তাঁকে হত্যা করবে তারই আপন বোনের পূত্র, মানে তাঁর ভাগ্নে। একথা শোনে কংস রাগান্বিত হন এবং দেবকী ও বাসুদেবকে বন্দি করেন। বন্দি অবস্থায় তাদের একে একে ছয়টি সন্তানের জন্ম হয়। প্রত্যেক সন্তানকেই মৃত্যুভয়ে রাজা কংস হত্যা করেন।
সবশেষে জন্ম নেন মহা অবতার কৃষ্ণ। বাবা বাসুদেব তাঁকে বাঁচানোর জন্য কংসের চোখের আড়ালে অন্যত্র রেখে আসেন। এভাবেই কৃষ্ণ জন্মের কাহিনী এখনো শোনা যায় গ্রামে-গঞ্জে।আজ
সরকারি ভাবে ছুটির দিন।
অষ্টমী তিথি ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকাল ৩ টা ৩৭ মিনিটে শুরু হবে। এই অষ্টমী তিথি ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বিকাল ০৪ টা ১৪ মিনিটে শেষ হবে। যেখানে জন্মাষ্টমীর শুভ সময় হবে রাত ১২ টা ০৭ মিনিট থেকে রাত ১২ টা ৪৮ মিনিট পর্যন্ত। এই মুহূর্তে লাড্ডু গোপালের পুজো করা হয়। নিয়মানুযায়ী পুজো করলে সকল ইচ্ছা পূরণ হয়। পুরাণ অনুসারে, শ্রীকৃষ্ণের জন্ম রোহিণী নক্ষত্রে মধ্যরাতে ১২টায়। এই বিশ্বাস অনুসারে, ৬ সেপ্টেম্বর গৃহস্থরা তার জন্মবার্ষিকী উদযাপন করবেন। এদিন রোহিণী নক্ষত্রেরও সংযোগ ঘটছে।