মোঃ সাইফুল ইসলাম আকাশ, নিজস্ব প্রতিবেদক: মাত্র ৭ হাজার টাকা খরচ করেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল বাগেরহাট জেলার পুটিখালি গ্রামের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার হাফেজ মোহাম্মদ মহিদুল হাওলাদার ও লাইজু দম্পতির ছেলে সিফাত। সিফাতের মাসিক আয় এখন ৬০ হাজার টাকা।
সিফাত জানায়,শুরুটা কষ্টের হলে ও এখন সফল ফ্রিল্যান্সার তিনি।তিনি জানান,আমার শুরুটি ছিল আরো দের বছর আগে।আম্মু, আব্বুর থেকে না জানিয়ে আমায় ৭ হাজার টাকা দিয়ে ছিল ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য। মা এর আগ্রহ তেই জিবনে কিছু একটা শুরু
করার সিদ্ধান্ত নেই।শুরু করি সেই টাকা দিয়ে একটি কম্পানিতে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স।কোর্স শুরু অবস্থায় আমার হাতে ছিল একটি ফোন, ফোন দিয়ে শুরু করি freelancing..আমার জন্য সবথেকে বেশি কষ্ট কর ছিল কারেন্ট নিয়ে।কারন তখনো আমি যে গ্রেরামে থাকি সেখানে কারেন্ট ঠিকমতো আসেনি।
আবার হাতে ফোন সব কিছু মিলে শুরু করি। শুরু মাঝে আমি খেয়াল করেছি আমি ফোন দিয়ে canva এবং photopea এর কাজ গুলো ফোন
দিয়ে আমি খুভ ভালো ডিজাইন পারি।সেটি খেয়াল করে আমার এলাকার এক বন্ধ আরিফ আমাই বলে তুমি ফাইভারে একাউন্ট খুলে কাজ শুরু করে দাও। অর মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলে ফোনের মাধ্যমে, গিগ থেকে শুরু করে সব ফোন দিয়ে সেটআপ করেছি।এই ভাবে প্রতিনিয়ত youtube এবং ওই কোর্স থেকে শিখছিলাম।হঠাৎ ২ মাস পর ফাইভারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি মেসেজ আসে।সে আমার করা লোগো তার ভালো লেগেছে।সে কাজ করাতে চাই আমার থেকে।এবং সে আমাকে এর জন্য 40$ ডলার দিবে।এই মেসেজটি দেখে তখন চোখের পানি খুশিতে ধরে রাখতে পারছিলাম না।
তার পর ভাবছিলাম আমারতো ল্যাপটপও নেই পিসিও নেই কাজটা করব কিভাবে। তাও কাজ নিয়ে নেই।কিন্তু আমার মনে বিশ্বাস ছিল আমি ফোন দিয়ে খুব ভালো ডিজাইন করতে পারি। সেই বিশ্বাসে আমি ফোন দিয়ে তার কাজ টা করে তাকে জমা দিয়ে দেই এবং আলহামদুলিল্লাহ সে অনেক খুশি হয়েছিল এবং তার পরবর্তী সকল কাজ আমাই দিয়েছে।তখন আমার মনে আরো বেশি বিশ্বাস হলো যে ফোন দিও ফ্রিল্যান্সিং করা পসিবল। কারণ আমি তো ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখছি না যে আমার ল্যাপটপ লাগবে। আমি ফোন দিয়ে চাইলে youtube থামনের, লোগো ডিজাইন, রেস্টুরেন্ট মেনু কার্ড ডিজাইন বিজনেস কার্ড ডিজাইন, এবং বিভিন্ন ডিজাইন করতে পারি।এবং আমার ফোনের কাজ দেখে আমার ক্লাস এর স্যার থেকে শুরু করে সকলে অভাগ ভাবে তাকিয়ে থাকে।এই ভাবে বাংলাদেশ থেকেও অনেক কাজ পেয়েছিলাম।আমার এই সফলতার পিছনে ছিল আমার মা।যে না থাকলে হইত শুর টা করতে পারতাম না, সে বলেছে তুই শুরু কর আমি আছি,এই ভাবে দের বছর চলে গেল।তার পর ফেসবুক এ খেয়াল করেছি অনেকে ফোন দিয়ে ফ্রীলান্সিং করতে চায়। তাদের জন্য আমি নিজে একটি কম্পানি দেই।যার নাম দিয়েছি freelancing career..
শুরু থেকে আমার অনেক স্টুডেন্ট আমার কাছে আসে এবং শুরু করে।তাদের সব সময় বলেছি আমি পারেছি আপনিও পারবেন কারন আপনি যা শিখছেন তা ফোন দিয়ে শিখা যাই।এবং আমার এক মেয়ে স্টুডেন্ট ফোন দিয়ে আমার আইডিয়া নিয়ে বাংলাদেশ থেকে এক মাসে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করেছে। কিছু দিন আগে এক স্টুডেন্টের কাজ দেখে একজন ডিজাইনার বলেছে এটা কি আপনি ফোন দিয়ে করেছেন?
সে বলেছে জি স্যার। তখন তাকে জিজ্ঞেস করেছিল আপনার মেন্টর কে এবং কোথা থেকে শিখেছেন?
তখন আমার স্টুডেন্ট বলে আমার মেন্টর সিফাতুল ইসলাম স্যার।তার freelancing career থেকে শিখেছি।
অনেকে আশ্চর্য হয়েছে আমাদের ফোন দিয়ে করা ডিজাইনগুলো দেখে। এখন আমার প্রতি মাসে ৫০/৬০ হাজার টাকা ইনকাম আছে।যা আগে কল্পনার বাহিরে ছিল।ফ্রিল্যান্সিং আমার জীবন বদলে দিয়েছে,, এই পর্যন্ত আসতে অনেক পরিশ্রম করেছিলাম। আজ আমি সফল বলি নিজেকে। কারন আমার স্টুডেন্টরা সফল। তারা ফ্রিল্যান্সিং করে নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলছে।
বর্তমানে আমার স্টুডেন্ট সংখ্যা ৬০০+অধিক।
এবং ফ্রিল্যান্সিং এর পাশাপাশি একটি গ্যাজেট আইটেমের বিজনেস রয়েছে।
” আজ নিজের টাকাই নিজের ল্যাপটপ থেকে শুরু করে সকল সেটআপ রয়েছে। ”
এবং মাঝে Rising youth award প্রোগ্রামে এ আমাদের আইটি মন্ত্রীর পলক স্যার এর সাথে দেখা হয়েছ। স্যার বলেছি চাইলে তুমি পার এই দুনিয়াকে কিছু করে দেখাতে তোমার সেই এবিলিটি রয়েছে।
স্যার এর কথা শুনে নিজেকে অনেক টা লাকি মনে হচ্ছিল।এবং সেখানে ছিল বড় বড় কনটেন্ট ক্রিয়েটরা এবং বর্তমানে YCI এর member হিসেবে যুক্ত আছি তাদের সাথে।এবং নিজের প্রতিষ্ঠানে (freelancing career) প্রতিনিয়ত স্টুডেন্টদের কে গাইড লাইন দিয়ে যাচ্ছি সাথে পড়ালেখাও করছি।