রাম বসাক, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে নিখোঁজের ৫ দিন পর উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের তালগাছি বাসস্ট্যান্ডের অদুরে অবস্থিত আর. কে টেক্সটাইল মিলের ভিতরে বালুর নিচে পুঁতে রাখা অবস্থায় ফেরদৌস আলি (১৮) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তি ও সোর্সের সহযোগিতায় আজ ১০ জানুয়ারি বুধবার সকাল ১১ টার দিকে ফেরদৌসের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ফেরদৌস আর, কে টেক্সটাইল মিলে নৈশ প্রহরী হিসেবে কর্মরত ছিল। সে উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়নের মশিপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসীন্দা ভানচালক আক্কাস আলীর ছেলে।
থানা পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ফেরদৌস গত ৫ জানুয়ারী শুক্রবার বিকেলে বাড়ী থেকে তার কর্মস্থল আর, কে টেক্সটাইল মিলে যায়। তারপর থেকেই সে নিখোঁজ ছিলো। তাকে আত্মীয় স্বজনদের বাড়ী সহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেও সন্ধান পাওয়া না গেলে গত ৮ জানুয়ারী সোমবার নিহতের পিতা আক্কাস আলী শাহজাদপুর থানায় একটি ডায়রী করেন। এরপর থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় আজ সকালে নিজ কর্মস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। ফেরদৌসকে পিটিয়ে হত্যা করে তাকে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছিল বলে ধারনা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরই তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় পুলিশ নিখোঁজ ফেরদৌসকে উদ্ধারের জন্য মাঠে নামে। একপর্যায়ে আজ সকালে আর, কে টেক্সটাইল মিলের ভিতরে মেঝের বালি – মাটি খুঁড়ে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কয়েকটি ক্লু নিয়ে থানা পুলিশ কাজ করছে। আশা করি অতিদ্রুতই আমরা ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হবো।
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এদিকে এলাকায় শান্ত শিষ্ট ছেলে হিসেবে পরিচিত ফেরদৌসকে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে রাখার ঘটনায় এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও খুনীদের সর্ব্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।