রাকিব হোসেন,ঢাকাঃ পারিবারিক অধিকারসহ স্বামী সাব্বির আহমেদের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে গোপালগঞ্জের রাজিয়া সুলতানা সাথী (৩৫) নাামে এক ভুক্তভোগী নারী।
সোমবার (১৩মে) দুপুরে রাজধানীর নাজিমউদ্দীন রোডে বাংলাদেশ গণমাধ্যমকর্মী এসোসিয়েশনেট অফিসে তিনি এই দাবি জানান সংবাদ সম্মেলনে।
এসময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শরীয়তপুরের সাব্বির আহমেদের সঙ্গে ২০১৯ সালে ইসলামিক শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ হয়। এরপর থেকে যৌতুকের জন্য মারধর করে আসছে। একে একে তাকে ১৩ লাখ টাকা যৌতুক দেয়া হয়। এরপরও টাকা চাইতে থাকলে আমি দিতে অস্বীকৃতি জানাই। এঘটনার পর থেকে সে আমার খোজ খবর নেয়নি। আমাদের দাম্পত্য জবীনে ২ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে, তাকেও জোর করে আটকিয়ে রেখেছে। পরবর্তীতে আদালতে যৌতুক মামলা দায়ের করা হয়, মামলা নম্বর সি.আর-১২৩/ ২০-২০২৩। ১ মাস পরে এই মামলায় জামিন হওয়ার পর সে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর মেয়ে আইসিইউেিত ভর্তির কথা বলে আমার স্বামী ফোন করে নেয়। এরপর ১৫ ডিসেম্বর রাত ১০ টার দিকে ঢাকার দক্ষিণখান থানার আশেেকানার হোটেল আজমাইনে নিয়ে যায়। সেখানে আমার স্বামীর সঙ্গে হোটেলের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর ও স্টাফ রবিন আহমেদ এই তিনজনে মিলে রাতভর গণধর্ষণ করে। এরপর অসুস্থ ও প্রচন্ড ব্লাডিং হলে পুলিশের ৯৯৯ এ কল দিয়ে সাহায্য চাই। দক্ষিণথানার এসআই মেহেদী হাসান সজিব উদ্ধার করে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে পাঠায় আজমাইন হোটেলের মালিক আশরাফুল তিনি সেখানে ভর্তি করাননি।
ওইদিন নিরুপায় হয়ে সেখান থেকে সোহরার্দী মেডিকেলে ডিএনএ পরীক্ষা হয়। এঘটনায় আমি বাদী হয়ে ১৭/১২/২০২৩ থানায় গণধর্ষসের মামলা দায়ের করি যার মামলা নম্বর ১৫। এই মামলায় আমার স্বামীসহ ৩ জন আসামি, তার মধ্যে আমার স্বামী ১ মাস ২৫ দিন কেরানীগঞ্জ কারাগারে ছিলেন এরপর জামিন মুক্তি পায়, বাকি দুইজেেনর মধ্যে জাহাঙ্গীর ২৮ দিন জেলে ছিলো আর ৩ নম্বর আসামি রবিন আহমেদ এখনো পলাতক রয়েছে।
তিনি বলেন, গণধর্ষণ মামলায় জেল থেকে বের হয়ে, আসামিরা প্রতিনিয়ত আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। এতো অল্পসময়ে আসামিরা কিভাবে বের হলো তা বোধগম্য নয়। আসামিরা সম্পদশালী হওয়ার কারণে বিভিন্ন জায়গা টাকা দিয়ে জামিন নেয়। এছাড়াও তারা নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন না, কিভাবে এতোকিছু সম্ভব?
ভুক্তভোগী দাবি করেন, আমার ও স্বামীর একান্ত ব্যক্তিগত ছবি, আমার স্বামী এডিট করে সেসব ছবি অন্য মানুষের সঙ্গে দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। যা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং সম্মানহানীকর এবং এলাকার বিভিন্ন মহলে এই ছবি ছড়িয়ে দেয়।
আসামিদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এই ঘটনার জেরে আমার পরিবার থেকেও আমাকে আজ বঞ্চিত করেছে । আমার পিতা ও মাতা আমাকে এখন মেয়ে হিসেবেও পরিচয় দিতে অস্বীকৃতি জানান। ঘর থেকে তারা আমাকে বের করে দিয়েছেন। আমি নিরুপায় হয়ে আজ পথে পথে ঘুওর বেড়াচ্ছি। তাই দেশের বিচার বিভাগ, প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার চাই। একই সাথে আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। এটির পাশাপাশি আমার রাষ্ট্রীয়ভাবে নিরাপত্তা চাই।