লিপন খান,কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বীরমুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক জেলা প্রশাসক আবদুর রহিম মোল্লা। বুধবার ১৩ নভেম্বর সকাল সাড়ে দশটায় কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধ কালীন কোম্পানি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা এ কে মাহবুব আলম। আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, মুক্তি যুদ্ধের কম্পানি কমান্ডার সালাউদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধা শেখ আল মামুন,গিয়াসউদ্দিন খান আরজু মিল্কী প্রমূখ। লিখিত বক্তব্যে আবদুর রহিম মোল্লা বলেন, আমার বিরুদ্ধে গত ০৫-১১-২০২৪ তারিখে ইটনা উপজেলার কতিপয় আওয়ামী বাকশালী মুক্তিযোদ্ধা কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধনের প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলন।
আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, আমি বিএনপি রাজনীতির সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ জড়িত এবং কিশোরগঞ্জ-৪ নির্বাচনী এলাকার বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী। আর এ কারণে আমার চাকুরীকালীন সময়ে তৎকালীন আওয়ামী বাকশালী সরকার আমার প্রতি বিভিন্ন অবিচার করে গেছেন। এমনকি আমাকে পদোন্নতি বঞ্চিত করে দীর্ঘকাল ওএসডি অবস্থায় মানসিকভাবে ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। শুনে অবাক হবেন যে, আমি চাকুরীতে থাকাকালীন অবস্থায় হাওর এলাকায় শেলো মেশিন চুরির মামলায় আমাকে আসামি হয়েছিলাম।
উদ্দেশ্যমূলক মানববন্ধনের প্রেক্ষিতে গুটি কয়েক পত্রিকায় দাবী করা হয়েছে যে, আমি ২০২১ সালে আমার সরকারী চাকুরী পদ ব্যবহার করে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছি। বাস্তবে আমি ২০২১ সালে চাকুরীতেই ছিলাম না। আমি ২০১৬ সালে চাকুরী থেকে অবসর নিয়েছি। নিম্নে আমার মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক প্রমাণক কাগজপত্র উল্লেখ করা গেল:
১। বিসিএস গেজেট: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক ৭ মে ২০১১ তারিখের প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন নম্বর ২২ বৈশাখ/৫ই মে ২০১১, গেজেট নং- ৪৬।
২। সাময়িক সনদপত্র: সাময়িক সনদপত্র নম্বর ১৭১৮২৬, ১১/০৯/২০১১ইং।
৩। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ১ম পর্বের প্রকাশিত সমন্বিত তালিকায় আমার নাম অন্তরভূক্ত রয়েছে।
৪। কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল কর্তৃক স্বাক্ষরিত প্রত্যয়ন পত্র:- পত্র নম্বর মুক্তিসুপা/কিশোরগঞ্জ ৫০৬৬/৮৪, তারিখ:১৭/১০/১৯৮৪।
৫। কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কর্তৃক প্রকাশিত ভোটার তালিকায় ১৯৯৪ সালে ভোটার হিসাবে অন্তরভূক্ত।
৬। এমআইএস এর কপি রয়েছে।
৭। বিগত ২৮/১২/২০০৫ ইং তারিখে কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলা যাছাই-বাছাই কমিটির সভায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছিল।
৮। মুক্তিযুদ্ধ বিষযক মন্ত্রণালয়ের চাহিদা মোতাবেক ১৯৭৩ থেকে পরবর্তী ১৯৮৪, ১৯৮৫, ১৯৮৬ সালে বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত তালিকার ক্রমিক নং-৮৩, রেজি নং-১৪২৪।
৯। ১৯৮৫ ব্যাচে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকুরিতে প্রবেশ সংক্রান্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পরেও বিএনপিতে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী বাকশালীদের দোসররা কতিপয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে এবং ব্ল্যাকমেইল করে আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধনের আয়োজন করেছে। এই মানব বন্ধনে সাংবাধিকদের নিকট মিথ্যা বানোয়াট ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায়। যা আমাকে সামাজিকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য।
আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য আমার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্ধী বিএনপিতে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী বাকশালী চক্র চক্রান্ত করে জনমনে আমার সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে এই ধরনের মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক মানব বন্ধন করেছে।
আমি এই মানব বন্ধনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।