মোঃ মজিবর রহমান শেখ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি ,, ঠাকুরগাঁওয়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে মারপিটের ঘটনায় আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়। সম্প্রতি গত ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের সিঙ্গিয়া দৌলতপুর গ্রামের মো: তাজেল ইসলামের ছেলে মো: মামুন ইসলাম (১৯) ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে ঘটনা তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেছেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, সম্প্রতি গত ৪ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে মামলার বাদী মামুন ইসলাম সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। এ অবস্থায় ঐ দিন সকালে মামুন শহরের চৌরাস্তায় আন্দোলনে থাকাকালীন আসামীগণ তা প্রতিহত করতে দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে গুরুতর আহত করে। এ সময় আসামীগণ লাঠি-সোটা, লোহার রড, ককটেল ও হাত বোমা নিয়ে আন্দোলনে অংশগ্রহনকারীদের উপরে হামলা চালায়। পরক্ষণে দুপুর আড়াইটায় মামলার বাদী মামুন ইসলাম চৌরাস্তা থেকে তার ম্যাসে (ইকো কলেজের সামনে-এএন ছাত্রাবাসে) যাওয়ার জন্য রাওয়ানা হন। তিনি আর্ট গ্যালারী মোড়ে পৌছালে সেখানে আসামীরা তার পথরোধ করে মারপিট করে তার মাথায় আঘাত করলে গুরুতর আহত হন তিনি। এ সময় আসামীগণ তার কাছে থাকা ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। সেখান থেকে মামুন ইসলামকে আসামীগণ মন্দিরপাড়ায় নিয়ে গিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আটকিয়ে রাখে। বিষয়টি জানার পর মামুন ইসলামের পিতা ৩০ হাজার টাকা নিয়ে এসে ছেলেকে উদ্ধার করে। এ সময় মামলা না করার শর্ত দিয়ে আসামীগণ ১শ টাকার ননজুডিসিয়াল ফাকা স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক সহি করে নেয়। পরে মামুন ইসলাম ৪ আগষ্ট থেকে গত ৬ আগষ্ট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। মামলায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড. অরুনাংশু দত্ত টিটো, ঠাকুরগাঁও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত সমীর, পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো: আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী সহ ৪২ জনের নাম উল্লেখ ও ১শ থেকে দেড়শজনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়।