রাম বসাক , শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ থেকে: শাহ-মাখদুমের পূণ্যভূমি, কবিগুরু রবি ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে গড়ে উঠেছে অরাজনৈতিক, সমবায় সামাজিক, সমবায় সেচ্ছাসেবামুলক প্রতিষ্ঠান প্রেরণা।
“স্বনির্ভরতার পথে-” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সমবায় ভিত্তিক সামাজিক ও মানবিক সংগঠন প্রেরণা’র উদ্যোগে ১০টি অনগ্রসর পরিবারকে স্বাবলম্বী করার প্রত্যয়ে শনিবার সকাল ১১ ঘটিকায় শাহজাদপুর উপজেলার পৌর সদরে রংধনু মডেল স্কুলের মিলনায়তনে ১০টি অনগ্রসর পরিবারের মাঝে সেলাই মেশিন ও ছাগল বিতরন করা হয়েছে।
শনিবার(১৮ ডিসেম্বর) সকালে সেলাই মেশিন ও ছাগল বিতরন অনুষ্ঠানে প্রেরণার সভাপতি মোঃ শামছুল হক(আলীম) এর সভাপতিত্বে ও প্রেরণার সধারন সম্পাদক হানিফ পারভেজ এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহজাদপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর মোঃ আজাদ রহমান এবং প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রেরণার উপদেষ্টা ও ন্যাশনাল এইচ.আর.কনসালটেন্ট, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় মোঃ নাজিম উদ্দিন।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ লিয়াকত, উপজেলা বণিক কল্যাণ সমিতির সাধারন সম্পাদক রবিন আকন্দ, কাউন্সিলর ৭নং ওয়ার্ড আল-মাহমুদ প্রামানিক, প্রেরণার সহ-সভাপতি ও সহকারী অধ্যাপক শাহজাদপুর সরকারি কলেজ মাহবুবুর রহমান মিলন, অধ্যক্ষ রংধনু মডেল স্কুল শহীদুল ইসলাম শাহীন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, শাহজাদপুর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, মারুফ হোসেন সুনাম প্রমুখ।
প্রধান অতিথি শাহজাদপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর মোঃ আজাদ রহমান বলেন, এ ধরনের ভালো উদ্যোগ নেয়ার জন্য প্রেরণাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, তিনি আরও বলেন, প্রেরণার উদ্যেগে যে ১০টি অনগ্রসর পরিবারের মাঝে সেলাই মেশিন ও ছাগল বিতরন করা হলো, প্রেরণার এ সহযোগীতা দেখে সমাজের বিত্তশালীরা যেন তার আশেপাশের অনগ্রসর পরিবারের আর্থসামাজিক ও জীবন মান উন্নয়নে পাশে এসে দাড়ানোর আহ্বান জানান ।
অন্যান্য বক্তারা তাদের বক্তব্য বলেন, একটি সুখী সমৃদ্ধশালী দেশ গড়ার জন্য মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার বিকল্প হতে পারে না, প্রেরণা করোনাকালীন সময় থেকেই সমাজে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছে এবং মাদক মুক্ত ও গ্রীন শাজাদপুর গড়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
সংগঠনের সভাপতি শামসুল আলম জানান, সুবিধাভোগী পরিবারগুলো গবাদিপশু ছাগল পালন এবং সেলাই মেশিনে কাজের মাধ্যমে তারা নিজেরা স্বনির্ভর হয়ে গড়ে উঠতে পারবে আর তাই তাদের মাঝে এই উপকরণ বিতরণ করা।