মেহেদী হাসান রিপন,বাঘারপাড়া উপজেলা প্রতিনিধিঃ-
আবহমান গ্রাম বাংলায় পানের কদর বহু বছর আগে থেকেই। যুগের পর যুগ ধরে এই পান খেয়ে আসছে মানুষ। পানের খিলি তৈরিতে বৈচিত্রের অভাব নেই। মুখরোচক এই খাবারটিকে আরো মজাদার আর তৃপ্তিতে ভরপুর করতে ব্যাবহার হয় বিভিন্ন রকমের মশলা। যা পান প্রেমীদের তৃপ্তি মেটায়। দশ টাকা থেকে শুরু করে দু’শ টাকা পর্যন্ত দাম হয় একটি পানের খিলির।
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার কাতলা মারী মহা শ্মশান মেলায় ঐতিহ্যবাহী শাহী পানের কদর রয়েছে সৌখিন মানুষের মধ্যে।, মেলা ও বড় অনুষ্ঠানে পান নিয়ে বসেন বিক্রেতারা। তবে, দামি পান খুবই কম বিক্রি হয়। বিশেষ করে কেউ অর্ডার করলে শতাধিক আইটেমের মশলা ও সুগন্ধি দিয়ে তৈরি হয় বিশেষ শাহী পান।
শীতকালে এই অঞ্চলে অনেক গ্রাম্য মেলা হয়। থাকে অনেক মানুষের ভীড়। আর সেখানেই পান নিয়ে আসেন বিক্রেতারা।
মেলায় পান বিক্রি করতে আসা কয়েকজনের সাথে কথা হয়। তার মধ্যে একজন জানান, ১০ বছর ধরে পান বিক্রি করেন। দশ টাকা থেকে শুরু করে দু’শ টাকা পর্যন্ত দামের পান রয়েছে তার কাছে। দামি পান তৈরি হয় দেড় শতাধিক মশলা দিয়ে। সাথে মিশিয়ে দেওয়া হয় সুগন্ধি। অনেক নারী পুরুষ সখের বসে এই পান খান। আবার কেউ অর্ডার দিয়ে তৈরি করে বাড়িতে নিয়ে যায়।
জনশ্রুতি আছে, আগেকার আমলে রাজ-রাজারা শত শত মশলা দিয়ে পান তৈরি করে খেতো। আর সেজন্য দূর দেশ থেকে খবর পাঠিয়ে পান তৈরির কারিগর আনা হতো। রাজ মহলের বৈঠকে পানের বাটাতে থাকতো বাহারি রং এর পান। সেই সময় অনেক কারিগর আর ফেরত যাননি। এভাবেই ছড়িয়ে পরে শাহী পান তৈরির কলাকৌশল।