লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের শায়েস্তানগরে বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে পুলিশের সাথে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় জেলারবিভিন্ন উপজেলা নেতৃবৃন্দসহ ৭০জনকে আসামী করা হয়েছে। ইতিমরেধ্য ২৫/৩০জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামী গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে,হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসুক আলী জানান, মামলায় অভিযোগ গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অনুমতি না নিয়ে সমাবেশ করা, চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে মঞ্চ তৈরি, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সমাবেশে যোগদান, যানবাহন চলাচল বন্ধ করে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে শহরে অরাজকতা সৃষ্টি নাশকতা চালানো সরকারি কাজে বাঁধা পুলিশের ওপর হামলা।
পুলিশের দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত দু’টি গাড়ি ভাংচুর, হবিগঞ্জ পৌরসভা ভবন ও জেলা পরিষদের রেস্ট হাউজ ভাংচুর করা। হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই নাজমুল হাসান বাদী হয়ে ৭০ জন নেতৃকর্মীর দায়েরকৃত মামলার ক্রমানুসারে অভিযুক্তরা হচ্ছেন- জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক পদত্যাগী মেয়র আলহাজ্ব জিকে গউছ, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক গোলাম মাহবুব, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ রাজিব আহম্মেদ রিংগন, জেলা ছাত্রদল সভাপতি এমদাদুল হক ইমরান, নাঈম আহম্মদ, হৃদয় আহম্মেদ, যুবদল নেতা মোঃ আঃ করিম, সাইদুর রহমান, বিএনপি নেতা মুহিবুল ইসলাম শাহিন, জুবায়ের আহমেদ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ তুষার জেলা বিএনপি আহ্বায়ক আবুল হাশেম
জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক পৌর কাউনিন্সলর শফিকুর রহমান সেতু, জেলা যুগ্ম সম্পাদক সাংগঠনিক সম্পাদক টিপু আহমদ, জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক জালাল আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রুবেল আহমেদ চৌধুরী, খাইরুদ্দিন আহমেদ স্বাধীন, নাজমুল হক অনি, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ এনামুল হক সেলিম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুসফিক, মিজান উদ্দিন, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মুর্শেদ আলম সাজন, জেলা যুবদল নেতা অলিউর মিয়া, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাফিজুল ইসলাম হাফিজ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জহিরুল হক শরীফ, মোজাম্মেল হোসেন সুমন, সাবেক পৌরন কাউন্সিলর মাহবুবুল হক হেলাল
সাইফুর রহমান সুজন, জেলা বিএনপি নেতা এম জি মুহিত, মীর শওকত আলী সেলিম, আব্দুর রউফ রুবেল, এমদাদুল হক রানা, নিয়াজ হোসেন, আতাউর রহমান লিটন, কামরুজ্জামান উজ্জ্বল, শাহ তোফাজ্জল, তুষার আহমেদ, আব্দুল আহাদ কাজল, সুমন মিয়া, আমিন শাহ, আইয়ূব আলী, সাহেদ আলী রিপন, জসিম, নুরুল হক, রাজু আহমেদ, রুহেল, হেলাল আহমেদ বাবু, রাব্বি, টুটন মিয়া, আমিনুর ইসলাম ফয়সাল, নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান চৌধুরী সেফু, রায়েছ চৌধুরী, জাকির আহমেদ চৌধুরী, শাহীন তালুকদার, শামীম আহমেদ, পারভেজ আহমেদ বকুল মিয়া, শাহ আলম পারভেজ আহমেদ পারভেজ মিয়া জয়নাল মিয়া।
ইলিয়াস আলী, মান্না মিয়া, মারুফ মিয়া, মোঃ শাহ নেওয়াজ, তোফায়েল আহমেদ রাসেল, নজরুল ইসলাম নাঈম, মোতাব্বির মিয়া, মোঃ সুজন ও মোঃ হেলাল মিয়া।এছাড়া অজ্ঞাতনামা রয়েছে আরো ১৫০০/২০০০ জন।
এর মধ্যে জুবায়ের আহমেদ, খাইরুদ্দিন আহমেদ স্বাধীন, মিজান উদ্দিন, মোজাম্মেল হোসেন সুমন, সাইফুর রহমান সুজন, মীর শওকত আলী সেলিম, আব্দুর রউফ রুবেল, নিয়াজ হোসেন, কামরুজ্জামান উজ্জ্বল, আমিন শাহ, রাজু আহমেদকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে মামলার আরজিতে বলা হয়, হবিগঞ্জ শহরস্থ পৈল রাস্তার মুখ ট্রাফিক পয়েন্টে সকাল বেলা আইন-শৃঙ্খলা ডিউটিতে নিয়োজিত ছিল।
একইভাবে শহরের অন্যান্য স্থানে আরোও অফিসার ফোর্স ডিউটিতে নিয়োজিত হয় হবিগঞ্জ শহরস্থ শায়েস্তানগর জি কে গউছ এর বাসার সামনে জিকে গউছের হুকুমে আসামীরা আবাসিক এলাকার পাকা রোডে জনগনের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে জোরপূর্বক মঞ্চ তৈরী করে। প্রশাসনের কোন অনুমতি ছাড়াই সমাবেশের আয়োজন করেন। বেলা অনুমান দেড়টার সময় ঢাকা থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় ২/৩ জন নেতা সমাবেশে আসেন। সমাবেশ উপলক্ষে হবিগঞ্জ জেলার সকল উপজেলা থেকে দলীয় লোকজন হবিগঞ্জ শহরে জড়ো হয়।
বেলা পৌণে ২ টার দিকে ট্রাফিক পয়েন্টের পূর্ব দিকে পৈল রোডের দিক থেকে শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন এবং সাইদুর রহমান এর নেতৃত্বে প্রায় ২৫০/৩০০ জনের একটি মিছিল হাতে লাঠি রামদা, ফিকল, ইট পাটকেল, টেটা, লোহার রড সহ সমাবেশস্থলের দিকে আসতে থাকে। তাদের দেশীয় অস্ত্রসহ মারমুখি ও ধ্বংসাত্মক অবস্থা দেখে অস্ত্র নিয়ে মিছিল সহকারে না যাওয়ার জন্য পুলিশ অনুরোধ করে। এ সময় মিছিলকারীরা পুলিশের উপর অতর্কিতে ইট পাটকেল, টেটা মারিতে থাকে এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন এ সময় বিভিন্ন দিক থেকে লোকজন পুলিশের উপর ইটপাটকেল, টেটা, ফিকল ছুড়তে থাকে এতে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ও আসামীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য শর্টগান ও গ্যাসগান দিয়ে ফাকা গুলি ছুড়ে।