রাম বসাক, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের বাঘাবাড়ী মোল্লাপাড়ার কৃষক শরিফুল ইসলাম ইয়ারমিন (৩৫) হত্যা মামলার বিচার দাবীতে রবিবার দুপুরে মোল্লাপাড়ার আউয়াল মোল্লার বাড়িতে পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিহতের চাচি ফাতেমা কামাল বেলী বলেন, গত ১৯ জানুয়ারি বুধবার সকালে পূর্ব বিরোধের জের ধরে বিনা উষ্কানিতে মো: আব্দুল লতিফ প্রামানিক গং অতর্কিতে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের পাশাপাশি আমার ভাতিজা শরিফুল ইসলাম ইয়ারমিনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও ফালাবিদ্ধ করে হত্যা করে। এরপর আসামীরা এ হত্যা মামলা থেকে নিজেদের রক্ষার কুটকৌশল হিসেবে ৮০ বছরের পক্ষাঘাতগ্রস্থ বৃদ্ধা সবুরা খাতুনকে হত্যার চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি বুধবার রাত থেকে ওই বৃদ্ধাকে অজ্ঞাত স্থানে গুম করে রেখেছে। আমরা শত চেষ্টা করেও ওই বৃদ্ধার সন্ধান পাইনি। ওই বৃদ্ধাকে তারা নিজেরাই হত্যা করে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দেয়ার পায়তারা চলছে বলে আমাদের ধারণা। তাই দ্রুত সবুরা খাতুনকে উদ্ধার ও ইয়ারমিন হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
নিহত ইয়ারমিনের চাচা হাজী আব্দুল আউয়াল মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নিহত ইয়ারমিনের স্ত্রী রিতা খাতুন (২৬), ছেলে জুবায়ের (৭), ভাই মিজানুর রহমান মিন্টু, তৌফিকুর রহমান বলেন, ইয়ারমিন হত্যা মামলার প্রধান আসামীরা এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। উল্টো তারা সবুরাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুম করে রেখে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করছে। এ থেকে রক্ষার জন্যে পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তারা আরও জানান, এ গুমের ঘটনায় গত ২০ জানুয়ারি কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করা হয়েছে। জিডি নং-১০৫৭। এদিকে, সংবাদ সম্মেলনে স্বামী হত্যার বিচার দাবী করে বারবার মূর্ছা যান নিহত ইয়ারমিনের স্ত্রী রিতা খাতুন।
উল্লেখ্য, ১৯ জানুয়ারি পূর্ব বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের হামলা সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের আব্দুল লতিফ গং পিটিয়ে ও ফালাবিদ্ধ করে কৃষক ইয়ারমিনকে হত্যা করে। এ ঘটনায় পরদিন ২০ জানুয়ারি নিহত ইয়ারমিনের স্ত্রী রিতা খাতুন বাদী হয়ে নামিক ৯১ জনসহ অজ্ঞাত আরও ৪০/৪৫ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলার নামিক ২ আসামীকে গ্রেফতার করলেও প্রধান আসামীরা এখনও ধরা ছোয়ার বাইরে রয়েছে।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি (তদন্ত) শেখ মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে খোজ খবর নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা