তাহিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি সুনামগঞ্জ। তাহিরপুরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট না দেওয়ার অভিযোগ তুলে পরাজিত এক সদস্য প্রার্থীর লোকজনের হামলায় ৪ জন আহত হয়েছেন। আহতরা বর্তমানে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। তাহিরপুর উপজেলার বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়নের টুকেরগাঁও গ্রামে গতকাল সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত নয়টার দিকে নির্বাচনী ফলাফলের পর এ ঘটনা ঘটে। এদিকে আজ মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি)দুপুর বেলায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহত রোগীদের দেখতে যান তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব কামরুজ্জামান কামরুল। সন্ধ্যায় হামলার ঘটনা সরেজমিনে দেখতে সেখানে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো রায়হান কবির, সহকারি কমিশনার ভূমি মো: আলা উদ্দিন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ তরফদার, উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি রমেন্দ্র নারায়ণ বৈশাখ, উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি সুভাষ পুরকায়স্থ, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ আহবায়ক মিলন তালুকদার প্রমুখ। তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ তরফদার বলেন,মারধরের ঘটনা সত্য। পুলিশ রাতেই সেখানে গিয়েছিল। সবার সঙ্গে কথা বলেছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব।’ টুকেরগাও গ্রামের সাবিত্রী রানি বলেন ভোট শেষে রাত নয়টার দিকে পরাজিত সদস্য প্রার্থীর লোকজন টুকেরগাঁও গ্রামের সুকেশ বর্মণের বাড়িতে হামলা করেন।এসময় মেয়ে ছেলেরা নিরাপত্তার জন্য নদীর ওপারে গিয়ে আশ্রয় নেন।হামলা কারীরা নির্মমভাবে পিটিয়েছে আমাদের। আমরা এর সঠিক বিচার চাই। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, টুকেরগাঁও গ্রামটি বড়দল দক্ষিণ ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডে পড়েছে। গতকাল ভোটে এই ওয়ার্ডে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন টাকাটুকিয়া গ্রামে মো. জহুর আলম। ভোট শেষে রাত নয়টার দিকে পরাজিত সদস্য প্রার্থীর পক্ষের লোকজন দলবেধে টুকেরগাঁও গ্রামের সুকেশ বর্মণের বাড়িতে যান। এ সময় তাঁরা ভোট না দেওয়ার অভিযোগ তুলে সুকেশ বর্মণকে গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে তাঁরা ওই পরিবারের লোকজনকে মারধর শুরু করেন। এতে সুকেশ বর্মণ (৪৫), তাঁর স্ত্রী খেলন রানী বর্মণ (৩৫), ছেলে শিপন বর্মণ (১৭) ও রিতুরাজ বর্মণ (২৬) আহত হন। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা বলেন,পরাজিত প্রার্থীর লোকজন তাঁদের ভোট না দেওয়ার অভিযোগ তুলে প্রথমে গালিগালাজ করেন। তাদের গালিগালাজের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমাদের পরিবারের সদস্যরা হামলার শিকার হন।আমরা নিরীহ বলে আমাদের কে এভাবে অত্যাচার করবে, আমরা এর সঠিক বিচার প্রার্থনা করছি প্রশাসনের কাছে।