সাইফুর রহমান শামীম, কুড়িগ্রাম।। প্রথমবারের মতো কুড়িগ্রামের চিলমারী নৌবন্দরে নোঙর করলো কয়লাবাহী ভারতীয় নৌযান (বলগেট) এমভি এইচ আলী। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ভারতের আসামের ধুবরি থেকে ব্রহ্মপুত্র নদ নৌরুটে কুড়িগ্রামের চিলমারী নৌবন্দরে পৌঁছায় কয়লাবাহী নৌযানটি। চিলমারী নৌবন্দরের দায়িত্বে থাকা রাজস্ব কর্মকর্তা রতন কুমার শিল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ২০১৯ সালে চিলমারী নৌবন্দরে ভারত ও ভুটান থেকে পাথর আমদানি শুরু হলেও এই প্রথম কয়লাবাহী নৌযান ঐতিহ্যবাহী এই নৌবন্দরে নোঙর করলো। গত ৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে এই নৌবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো পণ্যবাহী (ওয়েস্ট কটন) নৌযান ভারতের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
নৌবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ভারতের আসামের ধুবরি থেকে ৫০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে এমভি এইচ আলী নামে নৌযানটি চিলমারী নৌবন্দরে পৌঁছায়। বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার মেসার্স তাহসিন এন্টারপ্রাইজ এই কয়লার আমদানিকারক। ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবরির মেসার্স ইউনাইটেড ওভারসিজ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান।
কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের ক্লিয়ারিং ও ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট জামান আহমেদ বলেন, ‘নৌপথে পরিবহন ব্যয় কম হওয়ায় চিলমারী নৌরুটে কয়লা ও অন্যান্য পণ্য আমদানি খরচ কম হয়। নদীতে নাব্য অনুকূলে থাকলে ভূরুঙ্গামারীর সোনাহাট স্থলবন্দরে পরিবহন ব্যয়ের তুলনায় প্রায় এক তৃতীয়াংশ পরিবহন খরচে চিলমারী নৌবন্দরে কয়লা ও পাথর আমদানি করা সম্ভব।’
রাজস্ব কর্মকর্তা রতন কুমার শিল জানান, চিলমারী নৌবন্দর চালুর পর বিভিন্ন সময় ভারত থেকে পাথরবাহী নৌযান চিলমারী বন্দরে আসলেও এবারই প্রথম কয়লা আমদানি হলো।
‘আইনি প্রক্রিয়া শেষে কয়লাগুলো আনলোডের অনুমতি করা হবে।’ বলেন এই কাস্টমস কর্মকর্তা।