স্বপন কুমার রায় খুলনা ব্যুরো প্রধান
ফেব্রুয়ারি মানেই অনবদ্য এক মাস। যেখানে থাকে বসন্ত, ভালোবাসা আর ভাষার প্রতি প্রগাঢ় মমতা। প্রতিটি দিনই যেন হয়ে ওঠে ফুল কেন্দ্রিক। তাইতো বসন্ত বরণ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন দেশের ফুল চাষিরা।
আর তাই গোলাপ, জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকাসহ নানা জাতের ফুলের চাহিদা এখন আকাশচুম্বী। মাঠ জুড়ে পরিচর্যায় ব্যস্ত ফুল চাষীরা। গত দু’বছর করোনা মহামারিতে ফরিদপুরে চাষিদের লোকসান হয় ৬০ লাখ থেকে ৭০ লাখ টাকা। তবে এ বছর ফুলের চাহিদা বাড়ায় আশায় আছেন চাষিরা। তারা জানান, ফুল চাষ করে আমরা ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।
যদিও লকডাউন আতঙ্কে দিন কাটছে ফুল ব্যবসায়ীদের। নতুন করে বিধিনিষেধ না আসলে আগের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে প্রত্যাশা যশোরের কৃষকদের। তারা জানান, বাজার আগে অনেক খারাপ ছিল বর্তমানে অনেক ভালো।চাষীরা অনেক পয়সা পাচ্ছে।
এদিকে অসময়ে বৃষ্টির কারণে লোকসানের মুখে নারায়ণগঞ্জের ফুল চাষিরা।তারা জানান, বৃষ্টিটা হওয়াতে অনেক চারা মারা গেছে। তবে নবীন ফুল চাষীদের প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। কৃষি বিভাগের দাবি সামনের দিনগুলোতে কোটি টাকার ফুল বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. হজরত আলী বলেন, কৃষকদের পাশে থেকে তাদেরকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। ফুলচাষে আত্ননিয়োগ করেছে যেসব যুবক-যুবতি তারা এটা করে ভাালো টাকা পাবেন।
এদিকে ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, ওমিক্রন আসার ফলে আমাদের শিথিলতা বেড়েছে। আমাদের সামজিক অনুষ্ঠানগুলোও আগেরমত হচ্ছে না। তারপরও আমি আশাবাদী এবং এবার দেশে ফুল চাষে এগিয়ে থাকা যশোরের গদখালীতে এ মাসে ফুল বিক্রি হবে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার।