
বিরামপুরে চোলাই মদ তৈরি ও চোলাই মদ তৈরির বড়ি সহ চোলাই মদ তৈরির উপকরণ সমূহ জব্দ

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি- শনিবার ১২ ই এপ্রিল সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় দিনাজপুর জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এক ঝটিকা অভিযানে বিরামপুর পৌর শহরের ২ নং ওয়ার্ডের পাহান পট্টি এলাকায় বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন এবং বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মমতাজুল হক সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এক সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে উক্ত পাহান পট্টি আদিবাসী পাড়ার বেশ কয়েকটি বাড়ি থেকে চোলাই মদ তৈরি ও চোলাই মদ তৈরির বড়ি সহ চোলাই মদ তৈরির উপকরণ সমূহ জব্দ করেন, যাহার আনুমানিক মূল্য ২৫ লক্ষ টাকা এবং পরবর্তীতে এ সব আটককৃত চোলাই মদ, চোলাই মদ তৈরির বড়ি, চোলাই মদ তৈরির উপকরণ সমূহ বিরামপুরের মোন্নাপাড়া ব্রিজের নদীর পানিতে ফেলে ধ্বংস করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিরামপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুজহাত তাসনীম আওন, বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক, বিরামপুর উপজেলার যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এনামুল হক চৌধুরী, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুস সালাম সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ গন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বেশ কয়েকটি বাড়িতে মদ তৈরির কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে। কারখানাগুলো তাৎক্ষণিক ধ্বংস করা হয়। অভিযান চলাকালে এ সময় অনেকে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা জানান, উক্ত মহল্লার বেশ কয়েকটি বাড়িতে বাণিজ্যিকভাবে চোলাই মদ তৈরি করা হয়। বাড়িতে মদ তৈরি হয় উল্লেখ করে বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, অভিযান শুরু করি। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে অনেকে পালিয়ে যায়। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযানে চোলাই মদ, চোলাই মদ তৈরির বড়ি ও মদ তৈরির উপকরণ সমূহ জব্দ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে মদ তৈরির সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়েছে।’ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুজহাত তাসনীম আওন বলেন, ‘আমরা খুবই অবাক হয়েছি যে, এখানে এত পরিমাণ মদ তৈরি হয় । গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে কারখানা দেখতে পেয়েছি। আমরা আসার খবর পয়ে অনেকে পালিয়ে গেছে । মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’