সিলেটের জৈন্তাপুরে শাপলা বিল সংক্রান্ত প্রকাশিত সংবাদের ভিন্নমত পোষ
মোঃ সাজ উদ্দিন সাজু, সিলেট জেলা প্রতিনিধি:
সম্প্রতি সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, কয়েকটি অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় জৈন্তাপুর উপজেলার শাপলা বিল নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের সাথে দ্বি-মত পোষণ করেছেন জৈন্তাপুর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক শাপলা বিল সুরক্ষা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিনুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাসুক আহমদ ও জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ রেজওয়ান করিম সাব্বির। প্রকাশিত সংবাদে আমাদেরকে জড়িয়ে যে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। বিগত ২০১৫ সাল হতে শাপলা বিল সুরক্ষায় বিলের পার্শ্ববর্তী এলাকার ২১ জন যুবকদের সমন্বয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় বিল রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন কাজ তদারকির জন্য সুরক্ষা কমিটি গঠন করা হয়।
চলিত অর্থ বছরে উপজেলা প্রশাসনের দিক নির্দেশনায় বিলের সীমানা চিহ্নিত করে শুধুমাত্র শাপলা অংশ স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণীয় করা ও পায়ে হেঁটে বিলের চারপাশ সহজে দেখার সুযোগ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদ এর আন্তরিক প্রচেষ্টায় উন্নয়ন কাজ গতিশীল করতে এগিয়ে আসেন উপজেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান কামাল আহমদ।
পর্যটকদের সুবিধায় স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন মাধ্যমে ইতোমধ্যে একটি উন্নতমানের ওয়াশ ব্লক, যেগাযোগ ব্যবস্থায় দুটি ব্রীজ, একটি ওয়াকওয়ে নির্মাণ এবং মূল রাস্তায় মাটি ভরাট কাজ করা হয়। এছাড়া পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজওয়ান করিম সাব্বিরের নেতৃত্বে জেপিএস ফটোগ্রাফিক সোসাইটির মাধ্যমে অন্তত এক কিলোমিটার জায়গার উপর শিমুল বৃক্ষ রোপন করা হয়।
উপজেলার সচেতন মহলের দাবীর প্রেক্ষিতে সুরক্ষা কমিটির অনুরোধে পর্যটন কেন্দ্রের আর্কষণ বৃদ্ধি করতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল আহমদ স্থায়ীভাবে কেন্দ্রী বিলের শাপলার অংশটি সংরক্ষণ করতে তিনি ০৬ লক্ষ ০৯ শত টাকা বরাদ্ধ দেন।
উপজেলা প্রশাসন ও চেয়ারম্যান কামাল আহমদ এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে রাজা বিজয় সিংহের সমাধিস্থল হতে অন্তত দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্য আঁকাবাঁকা একটি স্থায়ী বেড়ী বাঁধ নির্মাণ করার কার্যক্রম শুরু হয়। বিলের সীমানা নির্ধারণ করা কালীন সময়ে একটি মহল নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে চলমান উন্নয়ন কাজকে বাঁধা গ্রস্থ করতে চেয়েছিলো। এসময় জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত আজমেরী হক, সহকারি কমিশনার (ভূমি) রিপামনি দেবী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন এর সাহসী ভূমিকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। বাঁধ নির্মাণের এক পর্যায়ে বিলের কিছু পানি সেচের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। উন্নয়ন কাজের স্বার্থে বিলের মূল কুপের পানি সংরক্ষণ রেখে কিছু পানি ছেড়ে দেওয়া হয়। ফলে বিলের পাশ্ববর্তী গ্রামের লোকজন বিচ্ছিন্নভাবে কিছু মাছ আহরণ করে। এতে বিল সুরক্ষা কমিটির কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
বিলের বেড়ী বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হলে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মহলের দখলের থাকা বিলের ভূমি বাঁধের ভিতর অংশে পড়ে যায়। যার ফলে স্থানীয় একটি পক্ষ অসন্তুষ্ট হয়ে প্রশাসন ও শাপলা বিল সুরক্ষা কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিক এর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। তারা প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এবং সরকারের চলমান উন্নয়ন কাজকে বাঁধাগ্রস্থ করতে বিলের জমি জবর দখল নিতে নানা ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারে জড়িত রয়েছে।