ঝিনাইদহ প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পানামী গ্রামে পঞ্চাশোর্ধ এক নারীকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষনে ব্যার্থ হয়ে ওই নারীকে পিটিয়ে নাক ফাটিয়ে দিয়েছে। বাধা দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন ওই নারীর ছেলে কবির হোসেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার রাতে। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
এজাহার সুত্রে জানা গেছে, হরিশংকরপুর ইউনিয়নের পানামী গ্রামে ঘটনার দিন রাতে পঞ্চাশোর্ধ এক নারী ঘরে বসে ছিলেন। রাত ৯টার দিকে গ্রামের আতর আলী জোয়ারদারের ছেলে স্বপন অসৎ উদ্দেশ্যে ঘরে প্রবেশ করে। স্বপন অনেক আগে থেকেই ওই নারীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। ঘরে ঢুকে স্বপন ওই নারীকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। ওই নারীর চিৎকারে তার ছেলে কবিরসহ বাড়ির আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। এক পর্যায়ে স্বপনকে ঘরের মধ্যে তারা আটকে ফেলে। স্বপনকে আটকানোর খবর পেয়ে এজাহারে বর্নিত আসামী বাহারুল, মিটুল, আব্দুল্লাহ ও আব্দুল মালেকসহ আরো ৫/৬ জন অজ্ঞাত ব্যাক্তি জোটবদ্ধ হয়ে দরজা ভেঙ্গে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে স্বপনকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এ সময় আসামী আব্দুল্লাহ লোহার রড দিয়ে ওই নারীকে আঘাত করলে তার নাক ফেটে যায়। মায়ের রক্তাক্ত জখম দেখে ছেলে কবির এগিয়ে আসলে তাকেও পিটিয়ে জখম করে আসামীরা।
আহত ওই নারীকে মুমুর্ষ অবস্থায় ঝিনাইদহ থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় আহত নারীর ছেলে রবিউল ইসলাম ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি (তদন্ত) ইমদাদুল হক মঙ্গলবার বিকালে জানান, হরিশংকরপুর ইউনিয়নের বিষয়টি আমাদের নলেজে আছে। ভিকটিমকে এজাহার দিতে বলা হয়েছিল। যদি তারা এজাহার দেন, তবে অবশ্যই মামলা হবে।