স্বপন কুমার রায়, খুলনা ব্যুরো প্রধান:
সরকারের দেওয়া নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হলে পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরকে অপসারণ করে প্রশাসক বসানোর বিধান রেখে ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) বিল-২০২২’ পাস হয়েছে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (৩১শে মার্চ) স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) বিল-২০২২’ সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
বিদ্যমান আইনে নতুন পৌরসভা গঠনের পর প্রশাসক বসানোর সুযোগ ছিল। নতুন আইনে মেয়াদোত্তীর্ণ পৌরসভায় প্রশাসক বসানো এবং সরকার চাইলে যে কোনো ব্যক্তিকে এ পদে নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা) ও বিএনপি দলীয় সদস্যরা প্রশাসক বসানোর বিধানের কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, এটা সংবিধান বিরোধী। কারণ সংবিধানে সর্বস্তরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির কথা বলা রয়েছে। বর্তমান সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিরোধিতা করলেও এখানে কেন অনির্বাচিত ব্যক্তিকে বসানো হবে এই প্রশ্ন তোলেন বিরোধী সদস্যরা। এই আইন পাসের প্রতিবাদে বিএনপি দলীয় সদস্য হারুন অর রশীদ কিছু সময়ের জন্য সংসদের বৈঠক থেকে ওয়াক আউট করেন।
বিদম্যান আইনের মেয়র ও কাউন্সিলদের অপসারণ সংক্রান্ত ধারায় নতুন একটি শর্ত যুক্ত করা হয়েছে। ধারা ‘ঝ’ যুক্ত করে বলা হয়েছে, মেয়র অথবা কাউন্সিলর তার পদ থেকে অপসারণযোগ্য হবেন, যদি সরকার কর্তৃক, সময় সময়, প্রদত্ত নির্দেশ পালন করতে ব্যর্থ হন।
সংশোধনে একটি ধারায় পরিবর্তন এনে বলা হয়েছে, পৌরসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন পরিষদ গঠনের আগ পর্যন্ত কাজ চালানোর জন্য প্রশাসক নিয়োগ দেবে সরকার। সরকারি কোনো কর্মকর্তা বা সরকার উপযুক্ত মনে করে এমন কোনো ব্যক্তিকে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া যাবে।
বিলে পৌরসভার পরিষদ বাতিলসংক্রান্ত ধারায় নতুন বিধান যুক্ত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাদিক্রমে ১২ মাস বেতন বকেয়া থাকলে পরিষদ বাতিল হবে। নতুন পৌরসভা গঠন হলে বা কোনো ইউনিয়নের অংশবিশেষ পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত হলে বিলুপ্ত ইউনিয়ন বা বিলুপ্ত অংশে কর্মরতদের পৌরসভায় অন্তর্ভুক্তির সুযোগ রাখা হয়েছে বিলে।