রাসেদুল ইসলাম রাসেলঃ
সোনারগাঁও উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ভূমি অফিস এখন দুর্নীতির আখরায় পরিণত হয়েছে। ওই অফিসের উপ-সহকারি কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন টাকা ছাড়া কোন কাজই করেন না। ভূমি সংক্রান্ত যেকোন সেবার বিনিময়ে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। এই অফিসে গ্রাহকদের হয়রানি নিত্তনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নামজারি, জমাভাগ, খাজনা আদায়, জমির পর্চা (খসড়া) তুলা সহ ভূমি সংক্রান্ত সকল কাজে সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করে অনৈতিক ভাবে বাড়তি টাকা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।চুক্তির টাকা ছাড়া কোন ফাইলই নড়ে না,টাকা না দিলে নির্ধারিত সময়ে কোন কাজ আদায় করা যায় না। ওই ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গ্রাহকদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নেয়ার পরও বিভিন্ন ভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে এমনটাই অভিযোগ উঠেছে ভুমি অফিসের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।
সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অগোচরে মাঠ পর্যায়ের মোগরাপাড়া ইউনিয়ন ভুমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছে বলে ভূক্তভোগীদের দাবি।
মোগরাপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে আসা এক গ্রাহক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, এই অফিসের কর্মচারী ১মহিলা দেরিতে অফিসে আসেন প্রায়ই। অনেক সময় উপ-সহকারি কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা সত্বেও ঘুষের টাকার অর্ধক ভাগ পান জালাল উদ্দিন।ভূমি অফিসে সি সি ক্যামেরা থাকলেও এগুলোর যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে না।সেবা নিতে আসা ৮০ শতাংশ লোকই চরম হয়রানির শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত।সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে অতিরিক্ত ঘুষের টাকা না দিলে সেবা গ্রহীতারা পান না তাদের কাঙ্খিত সেবা। ভূক্তভোগীরা জানান, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের দুর্নীতি এমন চরমে পৌঁছেছে সরকারি নীতিমালার বাইরে চুক্তি অনুযায়ী মোটা অংকের ঘুষ ছাড়া কোন নামজারি হয় না। নামজারির জন্য ১০ হাজার থেকে শুরু করে মোটা অংক দাবি করা হয় উপজেলা ভূমি অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন স্তরে ভাগ দেয়ার কথা বলে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করার জন্য সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম মুস্তাফা মুন্না এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।