চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল পৌরসভার নাগরিকরা পানির সংকটে দিন কাটাচ্ছেন। পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় রমজান মাস থেকে বিশুদ্ধ পানির তীব্র-সংকট চলছে। গ্রাহকদের চাহিদার অর্ধেক পানিও সরবরাহ করতে পারছে না নাচোল পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে পৌরবাসীর মধ্যে।
জানা গেছে, নাচোল পৌরসভা একটি ‘খ’ শ্রেণির পৌরসভা। এখানে প্রতি বছর পৌর কর বাড়লেও নাগরিক সুবিধা সে হারে তেমন বাড়ে না। বর্তমানে মেয়র হিসেবে ২য় বারের মত দায়িত্ব পালন করছেন পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ খাঁন ঝালু। ২য় বারের মত মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার পরও কষ্ট লাঘবে কাজ না করায় সুবিধা বঞ্চিত পৌর নাগরিকদের মধ্যে রয়েছে চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ।
পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুল মালেক জানান, নাচোল পৌরসভায় প্রায় ১ হাজার ৫শ পানির গ্রাহক রয়েছে। তার মধ্যে পৌরসভার ৮ ও ৩নং ওয়ার্ডে পানির সংকট রয়েছে।বর্তমানে যে ডিপটিউবয়েল রয়েছে তা দিয়ে পৌর নাগরিকের পানির চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়।তবে আমরা আগামি ৩০ জুনের মধ্যে এ সংকট কাটিয়ে উঠবো।
পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হাসানুজ্জামান ডালিম বলেন,এই রমজান মাসে ৮নং ওয়ার্ডে খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। নাচোল পৌরসভার পানির যে সরবারাহ লাইন রয়েছে তা দিনে একবার পানি পাই আমরা। আর এই পানি দিয়ে জনগনের চাহিদা মিটছে না। জনগনের করের বোঝা ঠিকই বাড়ছে অথছ আজ ১০বছর ধরে পানির চাহিদা মিটাতে পারছে না পৌর কর্তৃপক্ষ।
পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাজু জানান,নাচোল পৌরসভার যে পানি সরবারাহ দেয় তা দিয়ে আমাদের এই রমজান মাসে চাহিদা মিটেনা। পৌরসভার লাইনে কখন একদিন পর আবার কখনও দুদিন পর পর পানি পাই। পৌরসভার মেয়র দশ বছর ধরে জনগনের যে প্রধান চাহিদা পানি তা বাস্তবায়নে সেই ভাবে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে না।
এদিকে পৌর কর্তৃপক্ষ পানির চাহিদা মিটাতে না পারায় পৌরসভার প্রায় ৩ থেকে ৪শ নাগরিক নিজের ইচ্ছায় পৌরসভার পানির সরবারাহ লাইন বিচ্ছিন্ন করেছে।
পৌর নাগরিকদের অভিযোগ মিঠু চৌধুরীর আমলে যে পানির লাইন নির্মান করা হয় সেই লাইন দিয়ে পৌরসভার মেয়র যেনতেন ভাবে এখন পর্যন্ত পানি সরবারাহ করছে। নতুন করে পানির সমস্যা সমাধানে পৌরকর্তৃপক্ষের তেমন কোন মাথা ব্যাথা নাই।
নাচোল পৌরসভার পানির সমস্যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও পৌর নাগরিকদের সমস্যার কথা লিখতে দেখা গেছে।
এবিষয়ে নাচোল পৌরসভার মেয়র আব্দুর রশিদ খাঁন ঝালুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন বিদ্যুৎ না থাকার কারনে পানি দিতে সমস্যা হচ্ছে, খুব দূরত্ব সমাধান কর হবে।