
আল্লামা সুলতান যওক নদভীর ইন্তেকালে শায়খ আবদুল হাই নদভীর গভীর শোক জ্ঞাপন

আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি: আরবি সাহিত্যের কিংবদন্তিতুল্য ব্যক্তিত্ব, সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী রহমাতুল্লাহি আলাইহির স্নেহধন্য ও বিশিষ্ট খলিফা, রাবেতায়ে আদবে আলমে ইসলামী বাংলাদেশের ব্যুরো প্রধান, চট্টগ্রামের জামেয়া দারুল মাআরিফ আল ইসলামিয়ারজামেয়া দারুল মা’আরিফ আল ইসলামিয়ার প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা সুলতান যওক নদভীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে এক বিবৃতি প্রদান করেছেন রাহবারে বায়তুশ শরফের শায়খ আল্লামা আবদুল হাই নদভী। বিবৃতিতে তিনি বলেন, আল্লামা সুলতান যওক নদভীর মতো দেশবরেণ্য ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রতিথযশা আলেমের ইন্তেকাল দেশ-জাতি ও মুসলিম মিল্লাতের জন্য অপূরনীয় ক্ষতি। তিনি ছিলেন আলেম সমাজের ঐক্যের প্রতীক। তাঁর ইন্তেকালে দেশের আলেম সমাজ একজন পরম সম্মানিত অভিভাবক হারালো। রাহবারে বায়তুশ শরফে বলেন, আল্লামা সুলতান যওক নদভী ছিলেন একজন মুহাক্কেক আলেম। সব বিষয়ে তাহকিক এবং তাকরিরের ক্ষেত্রে তিনি খুবই দক্ষ ছিলেন। তিনি একাধারে একজন বিদগ্ধ ইসলামী পণ্ডিত, শিক্ষাবিদ, লেখক, গবেষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে আরবি, উর্দু ও বাংলা ভাষায় বেশ কিছু অসূল্য কিতাবাদিও রচনা করেছেন। যে কোন কঠিন বিষয় খুব সাবলীলভাবে উপস্থাপন করতে পারতেন। স্বভাবজাত বিনয়ী কথাবার্তায় তিনি সবাইকে খুব সহজেই মুগ্ধ করতে পারতেন। ইলমি জ্ঞান-জগতের নানা শাখা-প্রশাখায় তাঁর ছিল অবাধ বিচরণ। রাহবারে বায়তুশ শরফ আল্লামা সুলতান যওক নদভীর সার্বিক সহযোগিতায় ১৯৮৬ সালে উপমহাদেশের বিখ্যাত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম নদওয়াতুল ওলামা লক্ষ্মৌতে ভর্তির হওয়ার সুযোগ লাভের কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বলেন, এই মনীষার সহযোগিতা ও বদান্যতায় অসংখ্য শিক্ষার্থী দেশ-বিদেশের স্বনামধন্য ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সুযোগ লাভ করেছেন। যার ফলশ্রুতিতে দেশ ও জাতি পেয়েছে অসংখ্য ইসলামিক স্কলার। রাহবারে বায়তুশ শরফ মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে আল্লামা সুলতান যওক নদভীর জন্য জান্নাতের আ’লা মাকাম কামনার পাশাপাশি তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। উল্লেখ্য, আল্লামা সুলতান যওক নদভীর শুক্রবার (২ মে) দিবাগত রাতে ইন্তেকাল করেন- ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন।