তাহিরপুর সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
৩০ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৪১তম শাহাদাত বার্ষিকী।
১৯৮১ সালের এই দিনে তিনি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে অতুলনীয় ভূমিকার কারণে ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে আছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। ১৯৭১ সালের উত্তাল মার্চে তার আহ্বান জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার সাহস জুগিয়েছে। একইসাথে দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য হানাদারদের বিরুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে তিনি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে জিয়াউর রহমান ‘শহীদ জিয়া’ হিসেবেই পরিচিত।
শোকাবহ এই দিনটির স্মরণে, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনায়, ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি দ্রুত সুস্থতার জন্য তাহিরপুর উপজেলা বি এনপি পরিবার তাহিরপুর বাজার জামে মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে।
দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন।সুনামগঞ্জ এক নির্বাচনী এলাকার গনমানুষের প্রিয় নেতা, আগামী দিনে হাওর বাসিকে নিয়ে যিনি স্বপ্ন দেখেন, জনগনের একমাত্র আশার প্রদিপ, সুনামগঞ্জ এক নির্বাচনী এলাকার কর্মীদের একমাত্র ভরসা, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের বিপ্লবী সহঃ সাধারন সম্পাদক, সুনামগঞ্জ জেলা কৃষকদলের বিপ্লবী আহ্বায়ক, জেলা বি এনপির সহঃ সভাপতি তাহিরপুর উপজেলার জননন্দিত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসুল হক।
আরো উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা বি এনপির সহঃ সভাপতি আবুল কালাম, জেলা বি এনপির সহঃ সাধারন সম্পাদক জুনাব আলী, জেলা বি এনপির মানবাধিকার সম্পাদক রাখাব উদ্দিন, জেলা বি এনপির সহঃ দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান উজ্জ্বল, সুনামগন্জ জেলা যুবদলের সহঃ কোষাদক্ষ সম্পাদক মাহবুব মল্লিক,তাহিরপুর উপজেলা যুবদলের বিপ্লবী আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম,বিপ্লবী সদস্য সচিব আবু সায়েম, যুগ্ম আহ্বায়ক তুজাম্মেল হক নাছরোম, স্বেচ্ছাসেবক দল আহব্বায়ক শাহিন,সদস্য সচিব ডাঃ হাবিবুর রহমান,জেলা স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা সোহাগ মিয়া, উপজেলা ছাত্রদল সদস্য সচিব মুন্না, তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন ছাত্রদল সাবেক সভাপতি আবুল কালাম, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আলামিন, ছাত্রদল নেতা অভি আহমেদ, সহ জেলা উপজেলার নেতৃবৃন্দ।
মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে জনাব আনিসুল হক বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কে জাতি আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে।কারন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার। তিনিই জাতির সঙ্কটময় মুহূর্তে বারবার দাঁড়িয়েছেন নির্ভয়ে, মাথা উঁচু করে। বিপর্যস্ত জাতিকে রক্ষা করেছেন সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে। জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। নিশ্চিত করেন বাক-ব্যক্তি ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের কালজয়ী দর্শনের বক্তা জিয়াউর রহমান জাতির নিজস্ব পরিচয় তুলে ধরেন। তার অন্যতম উপহার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদের পতাকাবাহী রাজনৈতিক দল ‘বিএনপি’। তার শাহাদতের পর সহধর্মিণী বেগম খালেদা জিয়া দলের হাল ধরেন। তার প্রতিষ্ঠিত দল তিনবার জনগণের ভোটে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পায়,তিনি বলেন বর্তমান সরকার দেশে একদলীয় শাসন পুনঃপ্রতিষ্টা করছে, কর্তৃত্ববাদী শাসনের নির্মমতা চারদিকে বিদ্যমান,বিরোধী দলের অধিকার, চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সবচেয়ে বড় শত্রু মনে করে বর্তমান সরকার,সে জন্য বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয়, গনতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যে মামলা দিয়ে অন্যায় ভাবে সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দী রাখা হযেছিল, অসুস্থ হয়ে বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন, আজকের এই দিনে আমরা সরকারকে হুশিয়ার করে বলতে চাই অনতিবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপর মিথ্যে মামলা ও সাজা প্রত্যাহার, নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে,তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে, অন্যতায় এদেশের জনগন আপনাকে সমিচিন জবাব দেবে।আমরা সকলে মিলে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্য দোয়া করবো আল্লাহ যেন ওনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন আমিন।