সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডীর নিহত ৫ জন বাঁশখালীরঃ সর্বত্র শোকের ছায়া।
এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড বিএম কনটেইনার ডিপোতে রাসায়নিক দ্রব্যের কন্টেইনার বিস্ফোরনে স্মরনকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ২০ ঘন্টা পরেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে আসেনি। ভয়াবহ এ মানবিক বিপর্যয়ে নিহতের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রায় ৪০ এর অধিক নিহতের মধ্যে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার এক ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ ৫ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
৫ জুন’২২ ইং রবিবার দুপুর ২ টা পর্যন্ত নির্ভরযোগ্য সূত্রানুযায়ী ৪৩ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ভাগ্যাহত ৫ জনের বাড়ি বাঁশখালীতে। নিহতরা হলেন- ছনুয়া ইউনিয়নের মুহাম্মদ মবিনুল হক, শেখেরখীল ইউনিয়নের আব্দুস সোবহান, পুঁইছড়ি ইউনিয়নের মুহাম্মদ মহিউদ্দিন ও আবু তহা বাকী। এছাড়া আরো একজনের নাম ঠিকানা জানা যায়নি। সময়ের পরিক্রমায় নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে বাঁশখালীর নিহতের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অধিক সংখ্যক কর্মচারীর বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালীতেই। সাড়া জাগানো নির্মম এ ট্র্যাজেডীর সারাদেশ শোকাহত এবং হতবম্ভ। আপাতত বাঁশখালীর ৫ জনের মৃত্যুতে উপজেলার সর্বত্র নেমে এসেছে শোকের ছায়া। নিখোঁজদের পরিবারেও চলছে শোকের মাতম।
উল্লেখ্যঃ শনিবার রাত ৮.৩০ টায় ডিপোর একটি কন্টেইনার বিস্ফোরনে আগুন লাগার পর রাত বারোটার সময় সর্বপ্রথম নিহত ব্যক্তি হিসাবে মুবিনুলের খবর বাঁশখালীতে ছড়িয়ে পড়ে। পরে একে একে খবর আসে বাঁশখালীর আরও পাঁচ যুবকের নিহতের খবর। তাদের মৃত্যুর খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে পুরো উপজেলা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। সীতাকুন্ড ট্র্যাজেডীতে ৫ জুন রবিবার দুপুর ২ টা পর্যন্ত ৪৩ জন নিহত এবং ৪ শতাধিক আহত হয়েছে। যার মধ্যে ৩০ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মি এবং ১০ জন পুলিশ সদস্য রয়েছে। যাদের অধিকাংশই মুমুর্ষ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। সীতাকুন্ডের প্রায় ২৬ একর জায়গায় হাজার হাজার কন্টেইনার জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।