জান্নাতুল ফেরদৌস, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ হুমকির মুখে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়ক, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা ও মিরপুর উপজেলার পদ্মা-নদীর তীব্র ভাঙ্গন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এরই মধ্যে গত কয়েকদিনে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বিপুল পরিমান ফসলী জমি, হুমকির মুখে পড়েছে নদী রক্ষা বাঁধ, বসতঘর ও কুষ্টিয়া ঈশ্বরদী মহাসড়ক।
গত কয়েক দিন ধরেই প্রমত্ত পদ্মার ভেড়ামারা উপজেলার ১২ মাইল, মসলেমপুর, টিকটিকি পাড়ার মুন্সিপাড়া প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। পানির তোড়ে বিলীন হয়ে গেছে প্রায় ৫ শত বিঘা ফসলি জমি। নদী থেকে মাত্র দেড়শ মিটার দুরে রক্ষা বাঁধও পড়েছে হুমকীর মুখে।
হুমকীতে নদী থেকে দেড় কিলোমিটার দুরে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কও। নতুন করে ভাঙ্গন আতঙ্কে নদী তীরবর্তি এলাকার মানুষের কাটছে নির্ঘূম রাত।
এরই মধ্যে গত ২৬ শে জুন ভাঙ্গন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে মানববন্ধন ও সমাবেশও করেছে স্থানীয়রা। দিয়েছেন আল্টিমেটাম।
অপরদিকে মিরপুর উপজেলার বহলবাড়ীয়া ও তালবাড়ীয়া ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় পদ্মা নদী ভাঙ্গনে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে কয়েকশ একর ফসলি জমি। প্রতিদিনই ৬০ থেকে ৭০মিটার নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। বিলীন হয়েছে অনেকের বসতবাড়ি ও জমি। হুমকিতে রয়েছে আরও শত শত বিঘা ফসলি জমি, কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কসহ হাজারও বসতবাড়ি, সরকারি-বেসরকারি নানা স্থাপনা।
এদিকে একমাত্র আয়ের উৎস ফসলি জমি হারিয়ে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে দিশেহারা এখানকার হাজারও কৃষক। কোন আশ্বাস নয়, নদী ভাঙ্গন ঠেকাতে অবিলম্বে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তাদের।
ক্ষতিগ্রস্থ গ্রাম বাসীর দাবি দ্রুত ভাঙ্গন রোধ না করা গেলে তাদের কয়েক হাজার একর আবাদি ফসলি নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। হুমকির মুখে তাদের অসংখ্য স্থাপনা তাই প্রশাসনের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
ভেড়ামারা বাহিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রওশন আরা সিদ্দীক বলেন, গত বছর নদী ভাঙ্গনের সময় থেকেই আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কতৃপক্ষের নিকট জানিয়েছিলাম। তাঁরা ব্যবস্থাগ্রহনের কথা জানিয়েও কোন পদক্ষেপ নেন নি। এইবারও আমরা তাঁদের জানিয়েছি তারা আশ্বাস দিয়েছে কিন্তু এখনো কোন কাজ করেনি। এই নদী ভাঙ্গনের ফলে সাধারন জনগন অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।