লিপন খান, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের কন্দরপদীর (ভূইয়াবাড়ি) নিজ বাড়িতে ঈদ উপলক্ষে ঢাকা থেকে বেড়াতে আসেন ইমরানুল হক ও তাঁর পরিবার। ঈদের পরের দিন( সোমবার) বিকালে স্ত্রী তার ছোট বোনকে নিয়ে বাড়ির সামনে নয়াপাড়া হইতে কন্দরপদি পর্যন্ত নবাগিয়া বিলের পাশে নতুন রাস্তায় প্রাকৃতিক মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে গিয়ে কিশোর গ্যাং কতৃক ইভটিজিংয়ের স্বীকার হন ইমরানুল হকের স্ত্রী ও বোন। এসময় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলার শিকার হয়েছেন প্রতিবাদকারী ইমরানুল হক ও তার চাচাত ভাই মহসিন ভূইয়া মিন্টু। হামলা ও কুপিয়ে জখম এর প্রতিবাদে আসামিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে শনিবার ( ১৬ ই জুলাই) সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদের সামনের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এ মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন হামলায় আহত ইমরানুল হকের চাচাতো ভাই গোলাম মোস্তফা, আহসান হাবীব, আরিফুল হক প্রমুখ।গোলাম মোস্তফা বলেন, ঈদে বাড়িতে বেড়াতে এসে নিজ বাড়ির সামনে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে হামলার স্বীকার হয় ইমরানুল হক, তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে চাচাতো ভাই মহসিন ভূইয়া মিন্টু হামলার স্বীকার হয়। এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া থানায় হোসেন্দী নয়া পাড়ার গ্রামের নূর হোসেনের ছেলে মোস্তাকিম (৪০),কামরুলের ছেলে রিফাত (২০) ও আরাফাত (২৩),দুলাল মিয়ার ছেলে পিয়েল (২০), এংরাজ মিয়ার ছেলে রিজন (১৯), মিজানের ছেলে বিল্লাল (২১), সুরুজ মিয়ার ছেলে নাহিদ (১৯) এই সাত জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত কয়েক জন কে আসামি করে ইমরানের বাবা আজহারুল হক ভূঞা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিলেন গত মঙ্গলবারে। ঘটনার পাঁচদিন অতিবাহিত হলেও কোন চিহ্নিত আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। পাকুন্দিয়া থানার ওসি মোঃ সারোয়ার জাহান বলেন, হামলার ও মারপিটের মূল আসামির একজন কন্দরপদি গ্রামের নূরুল ইসলামের সুবল (২০)। তাকে শুক্রবার রাতে আটক করা হয়েছে। বাঁকি দের কে খুব দ্রুত সময় এর মধো আটক করা হবে।