মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁওঃ কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাদেক জনপ্রিয় মেম্বার শামসুল আলমের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। ঈদগাঁও আলমাছিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা মাঠে তার জানাযার আয়োজন করা হয়। জানাযার নামাজে ইমামতি করেন ঈদগাঁও বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা জহিরুল ইসলাম। জানাযায় আগত সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এম, মমতাজুল ইসলাম, ঈদগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির চৌধুরী হুমু ও কক্সবাজার জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান সোহেল জাহান চৌধুরী। জানাযায় ইসলামপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল কালাম, জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ, ইসলামাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার সাইফুল ইসলাম, ডাক্তার এম, মমতাজুল ইসলাম রিয়াজ, মেম্বার দিদারুল ইসলাম, জালালাবাদের মেম্বার মোক্তার আহমদ, মরহুমের সময়কার সাবেক ও বর্তমান মেম্বারবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও সর্বস্তরের মুসল্লীরা অংশ নেন। বক্তৃতায় মরহুমের কর্মময় জীবনের নানা দিক উঠে আসে। ১৭ জুলাই গভীর রাতে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ঢাকা নেয়ার পথে ফেনী এলাকায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি– রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। কয়েকদিন আগে অসুস্থ হলে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় রেফার করেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, তিনি দীর্ঘদিন ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এর আগে তার হার্টে রিং পরানো হয়েছিল। তার সংসারে স্ত্রী, ৪ মেয়ে ও ১ ছেলে রয়েছে। তিনি একাধারে পরপর তিন বার মেম্বার নির্বাচিত হয়ে সফলতার সাথে ১৯ বছর দায়িত্ব পালন করেন। মরহুম মেম্বার জালালাবাদ ইউনিয়নের সওদাগর পাড়ার মৃত ফকির মোহাম্মদের পুত্র এবং একই এলাকার ব্যবসায়ী মনজুর আলম সওদাগরের ছোট ভাই। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি সাহসী ও পরোপকারী ছিলেন।
সর্ম্পকিত খবর সমূহ.
November 21, 2024