মোঃ হাসান ফরাজীঃ মো. আমির হোসেন খান ৪৮ বছর বয়সেই একজন সফল ব্যবসায়ী। সহজ-সরল, বিনয়ী ও মিষ্টভাষী একজন মানুষ। এক কথায় ভীষণ মিশুক। তরুণ ব্যবসায়ী থেকে সফল এগিয়ে যাওয়ার তালিকায়, মো. আমির হোসেন খান একটি তারার নাম।বর্তমানে তার দুইটি ইট বাটা, ৫০ একক মৎস্য চাষ, একটি মৎস্য হেচারী সেখানে ডিম থেকে সপ্তাহে প্রায় ১২ কোটি রেনু উৎপাদন করা হয়, একটি ছাগলের খামার সেখানে তিনশতাধিক ছাগল পালন করা হয়,একটি গরুর খামার তৈরি করা হচ্ছে।
প্রথমে সাধারণভাবে ছোট একটি গাছের ব্যবসার মাধ্যমে জীবন যাপন শুরু করলেও কিছু দিনের মাথায় আমির হোসেন খান ইট বাটা, মৎস্য চাষ, গরু ও ছাগল পালনসহ তার বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা শুরু করে এবং ব্যাপক সফলতা অর্জন করে। যার ফলে আমির হোসেন খান জীবনেও বড় সফলতা আসে
এরই ধারাবাহিকতায় তিনি একে একে বেশ কয়েকটি ছোট ছোট ব্যবসা শুরু করেন, যার সফলতাও তিনি দু-হাত ভরে পেয়েছেন। তবে তার এই সফলতা তিনি একার মধ্যে রাখেননি, ছোট ছোট ব্যবসার গড়ার মাধ্যমে অনেক-কেই করেছে উদ্যোক্তা।
আমির হোসেন খান শুধু ব্যবসায়ী মহলেই পরিচিত নন, তিনি মানবতার ফেরিওয়ালাদের মধ্যেও একজন। মহামারি করোনাকালীন সময়ে তিনি নিম্ন আয়ের মানুষদের পাশে ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন।
আমির হোসেন খান বলেন, আমার বাবা একজন কৃষক ছিলো। আমার বাবার দেখা দেখা বাবার আদর্শ দেখে ছোটবেলা থেকে বাবার সাথ সাথে কৃষক করি। ১৯৯৫-১৯৯৬ সাল থেকে বাবার সাথে আমি কৃষক কাজের সাথে জড়িত। সেখান থেকে ধান চাষ, আলু চাষ, মাছ চাষ, ছাগল পালন, গরু পালনসহ বিভিন্ন ব্যবসা শুরু করি আমরা। আমি বর্তমানে প্রায় ৫০ একর জমিতে শীতে ইটের ব্রিকফিল্ড ব্যবসার করি। আমার ইটের সিজন চলে গেলে ঐ জমিতে পানি দিয়ে মাছের চাষ করি। সেখানে মাছে ডিম থেকে রেনু ফুটিয়ে কোটি কোটি রেনু সারদেশে রপ্তানি করা হয়। আমার খামারের অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান গড়ে তুলেছি।
প্রায় ৫শ শ্রমিক আমার এখানে কাজ করে। আমি যুবকদের উদ্দেশ্য বলবো চাকুরী না খুজে ব্যবসা শুরু করো। এতে নিজের কর্মসংস্থান হবে সাথে সাথে সামাজের বেকারত্বও কমবে।