মোঃ খলিলুর রহমান সাতক্ষীরাঃসাতক্ষীরায় পানির অভাবে চরম বিপাকে পাট চাষীরা। ক্ষেতের পাট ক্ষেতেই শুকিয়ে যাচ্ছে কেউ কেউ আবার স্যালো মেশিন দিয়ে পানি দিলেও দু-তিন দিন পর আবারও শুকিয়ে যাচ্ছে এর জন্য গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। চাষীরা সারা বছরের পুঁজি খাটিয়ে পাট চাষ করলেও পাট কাটার মৌসুম এসে পানির অভাবে সব শেষ হয়ে যাচ্ছে।
সাতক্ষীরার বিভিন্ন উপজেলা এলাকা ঘুরে দেখা যায় এসব এলাকায় অধিকাংশ জমির পাঠ এখনো কাটা হয়নি, অনেক জমির পাট মরে যাচ্ছে। আবার কিছু কিছু জমির পাট রোদে পুড়ে ঝলসে যাচ্ছে। রাস্তার পাশে খাদের পানি দিয়ে সেখানে দেওয়ার চেষ্টা করছে তবে প্রতিদিন প্রচণ্ড রোদের কারণে পানি শুকিয়ে যাচ্ছে।
কৃষকরা জানাই একদিকে পানির অভাব আরেক দিকে শ্রমিকের অভাব।
জেলার বেশ কয়েকজন পাট চাষীর সাথে আলাপ কালে তারা জানাই ,আসলে পাট চাষ লাভজনক তবে কৃষকরা তেমন একটা লাভবান হচ্ছে না এর কারণ হচ্ছে,পাটের জমি তৈরী থেকে শুরু করে পাট কাটা গাড়িতে জলাশয়ে নেওয়া পানিতে ডুবানো ছাল ছাড়ানো সহ সবকিছুই মূল্যবৃদ্ধি,তবে প্রায় সকল পাঠ চাষীদের দাবি পাটের মূল্য আরো বৃদ্ধি করা হোক, যাতে করে পাট চাষীরা শুধু পাঠ খরি না আর্থিক দিক থেকেও যেন লাভের মুখ দেখতে পাই, অন্যথায় পাট চাষের কৃষকরা আগ্রহ হারাতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পাট চাষী আমিরুল ইসলাম সরদার বলেন, আমি এ বছর ৩ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি ফলন অনেক ভাল হয়েছে কিন্তু কাটার সময় পার হয়ে যাচ্চে। পানির অভাবে সঠিক সময়ে যদি না কাটতে পারি তাহলে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
পাট ব্যবসায়ী শেখ আলমগীর সরদার জানন,এ বছর পাট চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি চাষ হয়েছে কিন্তু শেষ মুহূর্তে বৃষ্টির পানি না পাওয়ায় ও ভিজানোর জায়গা না থাকায় আমরাও অনেক ক্ষতির সম্ভাবনায় আছি।
সাতক্ষীরা পাট অধিদপ্তরের মুখ্য পরিদর্শক আশীষ কুমার দাশ জানান, এ বছর সাতক্ষীরায় পাটের ব্যাপক ফলন হয়েছে। কিন্তু পাট চাষীরা সঠিক সময়ে বৃষ্টির পানি না পাওয়ায় তারা অনেক বড় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।