মোঃ পারভেজ খান,মোংলা প্রতিনিধিঃ পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের আগেই জিডিপিতে এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব বলা হয়েছিল এবং সবথেকে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতি নিয়ে বেশি আসার বাণী শোনা গিয়েছিল। পদ্মা সেতু সাথে চালুর এক মাসের মধ্যেই সেই আশার পালে ইতিমধ্যে হাওয়া লেগেছে।
দেশের অন্যতম মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতুর সুফল পেতে শুরু করেছে মোংলা বন্দর। চলতি বছরের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ায় দক্ষিণবঙ্গের যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বৃদ্ধি পাচ্ছে তার মধ্যে মোংলা বন্দর অন্যতম। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি বৃদ্ধির পাশাপাশি পণ্য রপ্তানিতেও নতুন মাইল ফলক উন্মোচন হয়েছে। রাজধানী ঢাকার সাথে মোংলার দূরত্ব কম হওয়ায় এ বন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানি বাড়বে কয়েকগুন। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) সকাল ১০ টায় ঢাকার মোট ২৭টি গার্মেন্টস কোম্পানীর তৈরী পোশাক নিয়ে পোল্যান্ডের উদ্দেশ্যে পানামার পতাকাবাহী ‘এমভি মার্কস নেসনা’ জাহাজে কন্টেইনার ভর্তি বাচ্চাদের পোশাক, জার্সি ও কার্ডিগান, টিশার্ট, ট্রাউজারসহ বিভিন্ন গার্মেন্টস পণ্য ওঠানো শেষে সকাল সাড়ে ১১ টায় মোংলা বন্দরের জেটি ত্যাগ করে জাহাজটি। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, মোংলা বন্দরের জন্য আজকে একটি স্মরনীয় দিন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর ১ মাসের মধ্যে পদ্মা সেতু হয়ে মোংলা বন্দর এর মাধ্যমে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির নবযাত্রা শুরু হলো। বিভিন্ন গার্মেন্ট কোম্পানির কন্টেইনার নিয়ে সরাসরি বন্দর হতে পোল্যান্ডের উদ্দেশ্যে এ পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। ভবিষ্যতে আমদানি-রপ্তানি এ ধারা আরও বৃদ্ধি পাবে। বন্দরের উপসচিব মো. মাকরুজ্জামান জানান, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঢাকা থেকে মোংলা বন্দরের দূরত্ব ১৭০ কিলোমিটার সেখানে ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম বন্দরের দূরত্ব ২৬০ কিলোমিটার। মোংলা বন্দরে জাহাজ হ্যান্ডলিং দ্রুত ও নিরাপদে হয় একই সাথে ঢাকার সাথে দূরত্ব কমে যাওয়ায় সময় ও অর্থ দুয়েরই সাশ্রয় হওয়ায় ব্যবসায়ীরা মোংলা বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে আগ্রহী হচ্ছেন। মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এইচ এম দুলাল বলেন, মোংলা বন্দরকে আমদানি নির্ভর বন্দর বলা হলেও পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় এ বন্দর দিয়ে এখন থেকে পণ্য রপ্তানি কয়েকগুন বাড়বে। সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে পাশাপাশি এ অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। মোংলা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ কামরুজ্জামান জসিম বলেন,
আমদানি রপ্তানিতে মোংলা বন্দর অধিক গুরুত্ব ভূমিকা রাখতে পারবে এবং এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করবে।