মোঃ খলিলুর রহমান,সাতক্ষীরাঃসাতক্ষীরা তালা উপজেলার মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহ। শীতকালীন সবজি শ্রাবণে ঠাসা প্রত্যেকটি মাঠে। পড়ন্ত বিকেলে যেনো সবুজের আল্পনা। শীতকালের সুস্বাদু সবজি ফুলকপি এবার শ্রাবণে বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে
এবার চলতি মৌসুমে অসময়ে আষাঢ় মাসে সাধারণ এই অসময়ে সবজি চাষ শুরু করতে এবার অতিরিক্ত তাপদাহে কিছু টা খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। তালা উপজেলার বিভিন্ন মাঠে শীতকালীন সবজি ফুলকপির আগাম শ্রাবণে বাম্পার ফলন হয়েছে। উৎপাদন ও দাম ভাল থাকায় খুশি তালার প্রান্তিক কৃষকরা।
বর্তমানে যে দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে, তাতে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে অনেক মুনাফা অর্জন হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
তালা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে উপজেলার ,আগোলঝাড়া ,ডাংগানলতা,বারুইহাটি,ধানদিয়া,খলিলনগর সহ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে অধিকাংশ মাঠে শীতকালীন সবজি ফুলকপি এখন অসময়ে চাষ করেছে। মনোমুগ্ধকর পরিবেশ, সবুজের অরণ্যে পল্লী গ্রাম, শ্রাবণে সবজির ভিতরে উল্লেখযোগ্য, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ও বরবটি।
কৃষকরা বিভিন্ন জাতের দেশি ও বিদেশি উন্নতমানের সবজি চাষে আগ্রহী এরই মধ্যে সিনর্জেনটা হাইব্রিড জাতের ফুলকপি চাষ করতে দেখা গেছে।
তালা সদর ইউনিয়নের সফল কৃষক শেখ শাহাবুদ্দিন বলেন, এবার অসময়ে সবজি চাষে গুণগতমান দেখে আমি অনেক খুশি, সবজি খুব ভালো হয়েছে বাজারমূল্য যথেষ্ট হয়েছে,আশা করি অন্যান্য বারের তুলনায় এবার অনেক লাভবান হবো।
এছাড়া তালা উপজেলার কৃষক আজমল হোসেন শেখ জানান,আমি ৯ শতক জমিতে অসময়ে ফুলকপি চাষ করেছি, প্রতিটা গাছে অনুমানিক ১০ টাকা করে খরচ হয়েছে, বাজার দর এমনি থাকলে অনেক লাভ হবে আমার।
আর একজন সফল চাষী আবু সালেহ শেখ এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, তার ২ বিঘা জমিতে আগাম ফসল হিসাবে ফুলকপি চাষ করেছে। তার ২ বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করতে খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা,এবং তিনি ১২ কাঠা জমির ফুলকপি বিক্রি করেছে প্রায় এক লক্ষ টাকা । এখন বাজার দর ভালো পেলে কয়েক লাখ টাকা আয় করতে পারবেন বলে তিনি জানান।