সোহাগ আলীঃএই আধুনিক যুগে এসেও একজন চা শ্রমিকের বেতন মাত্র ১২০ টাকা অথচ যে হারে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি সেই হিসেবে ৩০০-৪০০ টাকাতেও জীবন-যাপন করা দূর্বিষহ হয়ে পড়েছে।
চা শ্রমিকরা নিজের বেতন-ভাতা ৩০০ টাকা করার দাবিতে বিগত কয়েকদিন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কাজ স্থগিত রেখে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এইখানে চা-বোর্ড ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের উচিত চা শ্রমিকদের এই নায্য দাবিটি মেনে নিয়ে বেতন-ভাতা কমপক্ষে দৈনিক ৩০০-৪০০ টাকা বাস্তবায়ন করা অথচ তা না করে আজ দেখলাম এই আন্দোলনকে বানচাল করতে কয়েকটি চা বাগানের মালিক উল্টো কয়েক কোটি টাকার চাপাতা ক্ষতির আশঙ্কায় চা শ্রমিকদের বিরুদ্ধে শ্রীমঙ্গল থানায় জিডি করেছেন। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
একদিনের যদি কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হয় তাহলে যে শ্রমিকদের দিয়ে এত কোটি কোটি টাকা ইনকাম করেন,তাদের নায্য বেতন দিতে আপনাদের সম্যাসা কোথায়? নাকি শ্রমিকের রক্ত চুষে খেয়ে সেই টাকা বিদেশে পাচার করে সুইজব্যাংকে টাকার পাহাড় গড়েছেন নাকি বেগমপাড়ায় অট্টালিকা করেছেন এর জবাব আপনাদেরকে দিতে হবে?
এই কেমন সেলুকাস দেশ যেখানে নায্য দাবি মেনে নেওয়ার বিপরীতে মামলা হামলা করা হয়? দ্রুত চা শ্রমিকদের দাবি মেনে না নিলে এবং কোনো ধরনের বেআইনি চাপ প্রয়োগ করলে আমরাও সাধারণ সমাজ বসে থাকব না। নায্য অধিকার আদায়ে সোচ্চার হও, দুনিয়ার সব মজুদার এক হও, এক হও ।।