জাহাঙ্গীর খাঁন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে হত্যা মামলার আসামিরা জামিনে বাড়ি ফেরার পর প্রতিপক্ষের হামলায় উভয়পক্ষের ৪ জন আহত হয়েছেন। শনিবার সকাল ৭ টার দিকে সদকী ইউনিয়নের সদকী চরপাড়া গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, চলতি মাসের ১ তারিখে সেলিম হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় সেলিমের ছোটভাই শামীম বাদী হয়ে ২৯ জনকে আসামি করে কুমারখালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। এই মামলায় গত বুধবার হাইকোর্ট থেকে ২৬ জন জামিনে মুক্তি পেয়ে শনিবার সকালে বাড়িতে ফিরলে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা করে। হামলায় জামিনে মুক্তি প্রাপ্ত হত্যা মামলার ৫ নং আসামি আসলাম ও প্রতিপক্ষের মামুন শেখ, লিটন ও আবুল কাশেম নামের তিনজন গুরুতর আহত অবস্থায় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশংকাজনক।
এবিষয়ে হত্যা মামলার ৫ নং আসামি আসলাম শেখের ভাতিজা মাসুদ রানা জানায়, হত্যা মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে কুমারখালী থানার ওসি’র সাথে কথা বলে তারা শনিবার ভোড় ৫ টার দিকে বাড়িতে আসলে ৭ টার দিকে প্রতিপক্ষের মামুন, হানিফ, আরিফ ও মজি সহ প্রায় ৫০ জন মাথায় হেলমেট পরে ফালা সড়কি সহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের বাড়িতে এসে আক্রমন করে। এসময় ফালার আঘাতে তার চাচা আসলাম শেখের ভুঁড়ি বেরিয়ে গেলে তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থা আশংকাজনক।
বাদী পক্ষের আহত মামুন শেখ জানান, তাদের প্রতিপক্ষের লোকজন হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় এসে শুক্রবার তাদের একজনকে ধাওয়া করে এবং ভ্যান কেড়ে নেয়। শনিবার সকালে সে তার মামা বাড়িতে গেলে রেজাউল বিশ্বাস ও আজিজ সহ বেশ কয়েকজন তার উপর চড়াও হয়। এসময় খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করতে তাদের লোকজন আসলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে তাদের তিনজন গুরুতর আহত অবস্থায় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে। দুজনের অবস্থা আশংকাজনক।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, জামিনে মুক্তি পেয়ে হত্যা মামলার আসামিরা বাড়িতে ফিরলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৪ জন আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।।