মোঃ মজিবর রহমান শেখঃঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলায় সম্প্রতি
নেশাদ্রব্য খাইয়ে লোকজনকে অজ্ঞান করে বাড়িতে বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে চলেছে। এনিয়ে এলাকাবাসি আতংকিত হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ১৮ আগস্ট রানীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নের চেংমারি-সাবুডাঙা গ্রামের মৃত পশিরউদ্দিের ছেলে তসলিমউদ্দিনের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। ঐ রাতে তসলিমউদ্দিন ও তার পরিবার খেয়েদেয়ে ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। গভীর রাতে চোরেরা তার বাড়ির গেটের এবং ঘরের তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে একটি ১৫০ সিসি পালসার মোটরসাইকেল, ৫ ভরি সোনা ও ১ লাখ ২৭ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
ঘটনাকালে বাড়ির কেউ টের পাননি। এর কারণ হিসেবে তসলিম জানান, সম্ভবত আমার বাসার টিউবওয়েলের পানিতে আগেই কোনো নেশাদ্রব্য মিশিয়ে দেওয়ায় আমরা অচেতন হয়েছিলাম।
এদিকে, একই রাতে ঐ গ্রামের উসমান আলীর ছেলে বদরুদ্দোজা মাসুদের বাড়িতেও একই ধরণের চুরি হয়। ঐ রাতে মাসুদের বাড়ির লোকজনকেও নেশাদ্রব্যের সাহায্যে অচেতন করে ঘরের তালা ভেঙে চোরেরা ৪ ভরি সোনা ও মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে যায়। পরদিন ১৯ আগস্ট এনিয়ে তসলিমউদ্দিন রাণীশংকৈল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। প্রসঙ্গত এর কয়েকদিন আগে লেহেম্বা ইউনিয়নের বিরাশি গ্রামের রওশন বাড়িতেও একই কায়দায় চুরি হয়। ধারণা করা হচ্ছে, কোথাও বাড়ির জানালা দিয়ে নেশাদ্রব্য স্প্রে করে, কোথাও টিউবওয়েলে কিংবা পানির ট্যাংকিতে নেশাদ্রব্য মিশিয়ে এসব চুরি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে রাণীশংকৈল থানার ওসি এস এম জাহিদ ইকবাল বলেন, তসলিমউদ্দিনের একটি লিখিত অভিযোগ আমি পেয়েছি। এর প্রেক্ষিতে আমরা প্রথমে চুরি যাওয়া মোবাইল সেটটি উদ্ধার করার চেষ্টা করছি। মোবাইলটি নেকমরদ এলাকায় থেকে রিং হচ্ছে কিন্তু রিসিভ হচ্ছে না। এ ব্যাপারে এস আই মুরাদকে দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে। এস আই মুরাদ বলেন, আমি
গত তিনদিন জেলায় প্রশিক্ষণে ছিলাম, প্রশিক্ষণের পরে এ ঘটনার তদন্ত করা হবে।