মোঃ মজিবর রহমান শেখঃদিনব্যাপী একাধিক ব্যক্তির উপর হামলা চালিয়ে আহত করার পর উদ্ধারে এগিয়ে আসা গ্রামপুলিশের উপর হামলা করায় বিক্ষুদ্ধ জনতার ধাওয়ায় পালিয়ে গেল সন্ত্রাসী বাহিনীটি।পরে অত্যাচারী ঐ চক্রটির আটকের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,বৃহস্পতিবার(২৫ আগষ্ট) বেলা দেড়টার সময় স্থানীয় সেনিহারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আলম মাষ্টারের নেতৃত্বে একদল দৃর্বৃত্ত সেনিহারী পুকুরের পশ্চিম পাড়ে আহসান হাবীব কামালের কবলা খরিদা জমিতে পাটখড়ি রাখার খাড়া তৈরী করছিল। ঐ সময় কামালের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বাঁধা দেয়। এতে ঐ সন্ত্রাসী চক্রটি গৃহবধূ মনোয়ারা বেগমকে বেধরক মারপিট করে।
বিকেল ৩ টায় দুপুরে রেখে আসা ঐ নারী খুন্তি আনার জন্য ঐ জমিতে যাওয়ার পথে দৃর্বৃত্তরা তাকে রাস্তায় আটক করে বেদম মারপিট করে। এতে ঐ নারী মলমূত্র ত্যাগ করে। ঐ সময় একই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ২০ নং– রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ বেলাল হোসেন(৪০) দেখতে পেয়ে রাস্তায় পড়ে থাকা ঐ নারীকে উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়, এবং তাকে তার পরিবার পরিজনদের মাধ্যমে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে।এতে গ্রামপুলিশ বেলালের উপর ক্ষুদ্ধ হয় দুর্বৃত্তরা।
সন্ধা ৬ টার দিকে গ্রাম পুলিশ বেলাল হোসেন ইউনিয়ন পরিষদ হতে বাড়ি ফেরার পথে সেনিহারী পুকুর পাড় এলাকায় পৌছলে আলম মাষ্টারের নেতৃত্বে দৃর্বৃত্তরা অতর্কিতে বেলালের উপর হামলা চালায় এবং তার মাথা ফাঁটিয়ে দেয়।এরপরও ২০ নং– রুহিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরু ও মানিক নামে অপর এক আওয়ামীলীগ নেতাকে শায়েস্তা করতে সেনিহারী বাজারে খোজাখুজি শুরু করলে বাজারের লোকজন ক্ষুদ্ধ হয়ে দুবৃর্ত্তৃদের ধাওয়া করে। এলাকাবাসীর ধাওয়ায় পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।খবর পেয়ে রুহিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়স্ত্রণে আনে। পরে রাত ৮ টায় দুর্বৃত্তদের আটকের দাবিতে সেনিহারী বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকাবাসী। রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরু জানান,আলম মাষ্টার ও তার কযেকজন চাচাত ভাই দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। প্রতিপক্ষের জমি দখল ও বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে আসছে।এ নিয়ে অসংখ্যবার এলাকায় শালিস বসানো হলেও তারা কাউকে তোয়াক্কা করছে না। তাদের অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ট হয়ে বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে এবং এলাকাবাসীর ধাওয়ায় তার পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে রুহিয়া থানার ওসি সোহেল রানা জানান,২০ নং– রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের একজন গ্রাম পুলিশকে মারপিটের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় আইনগত:ব্যবস্থা নেওয়া হবে।